করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে তৈরি পোশাক শ্রমিকদের সংক্রমণ, মৃত্যু ও আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপতি তাসলিমা আখতার ও সাধারণ সম্পাদক জুলহাসনাইন বাবু। সরকারের নতুন করে ‘কঠোর লকডাউন’ ঘোষণার প্রেক্ষিতে গতকাল শনিবার এক যৌথ বিবৃতিতে শ্রমিকদের জীবিকা-বেতন-মজুরি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন তারা। তারা বলেন, সরকার নতুন করে ‘কঠিন লকডাউন’ ঘোষণা করেছে, যাতে পোশাক কারখানাও বন্ধের ঘোষণা এসেছে, যা শ্রমিকের জীবন বাঁচানোর জন্য জরুরি। কঠোর লকডাউনে কেবল জনগণ ঘর থেকে বের হলো কি না তাই নয়, একই সঙ্গে সরকারকে জোরের সঙ্গে মালিকপক্ষের ভূমিকা কঠোরভাবে নজরদারি করতে হবে। মালিকপক্ষ যাতে শ্রমিকদের এক পয়সা বেতনও না কাটে বরং লকডাউনের বিপদকালে শতভাগ মজুরি নিশ্চিত করে সে বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হবে। বিবৃতিতে বলা হয়, গত বছরের মতো লকডাউনে সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তারা বেতন পাবেন, সুযোগ-সুবিধা পাবেন, কাজে যাবেন না কিন্তু শ্রমিকদের বেলায় উল্টো অবস্থাএমনটা এবার শ্রমিকরা মেনে নেবে না। গত বছর লকডাউনে বেতন কাটা, ছাঁটাই এবং লেঅফে শ্রমিকদের জীবন বিপর্যস্ত হয়। কাজ হারায় সাড়ে তিন লাখের বেশি শ্রমিক। বহু কারখানা এখনো বন্ধ। বহু শ্রমিক কাজ ছেড়ে গ্রামে গেছে কিংবা বেকার হয়েছে। এখনো কোনো কোনো কারখানার শ্রমিক তাদের বকেয়া বেতন পায়নি। এবার যাতে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান শ্রমিক নেতারা।