করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে আগের তুলনায় অনেক কম মূল্যে পণ্যের অর্ডার নিতে হয়েছে পোশাক উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলোকে। গবেষণার তথ্য বলছে, অতিমারী পরিস্থিতিতে উৎপাদন খরচের কম মূল্যে ক্রয়াদেশ নিতে বাধ্য হয়েছে দেশের ৫৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠান।
‘দি উইকেস্ট লিংক ইন গ্লোবাল সাপ্লাই চেইন: হাউ দ্য প্যানডেমিক ইজ এফেক্টিং বাংলাদেশ গার্মেন্টস ওয়ার্কার’ শীর্ষক এক গবেষণায় এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার অনলাইনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিবেদনটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়। গবেষণা প্রতিবেদনটি যৌথভাবে তৈরি করেছে ইনস্টিটিউট ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড বিজনেস (আইএইচআরবি), যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির দ্য সুবির অ্যান্ড মালিনি চৌধুরী সেন্টার ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ, বিজনেস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস ও ইউএনডিপি। গবেষণাটির আনুষ্ঠানিক ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন ইউএনডিপির রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ সুদীপ্ত মুখার্জি।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাভাইরাস কেন্দ্র করে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে নানাভাবে ক্ষতির শিকার হয়েছে দেশের পোশাক শিল্প খাত। পোশাক উৎপাদক প্রতিষ্ঠান ও কর্মীরা আর্থিক ও স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে। বিশেষ করে নারী কর্মীরা বিভিন্ন ঝুঁকিতে পড়েছেন। ২০২০ সালে করোনাকালীন সময়ে ৩৫ ভাগ কর্মীদের বেতন কমে যায়। বাজারে চাহিদা কমে যাওয়া, করোনার কারণে বাজার বন্ধ হয়ে যাওয়া, শিপমেন্ট দেরি হওয়া, সময়মতো পণ্যের মূল্য না পাওয়াসহ বিবিধ কারণে গার্মেন্টস খাত ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গার্মেন্টস কর্মীদের ঝুঁকি বেড়ে যায়। অনেক ব্যবসা হয় বন্ধ হয়ে যায় অথবা সংকুচিত হয়। ফলে অনেক নারী কর্মীর চাকরি চলে যাওয়ার পাশাপাশি অনেক কর্মীর উপার্জন কমে গেছে। বাধ্য হয়ে কর্মীরা দেনায় জড়িয়ে পড়েছেন বলেও গবেষণায় উঠে এসেছে।
প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনায় শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব কেএম আব্দুস সালাম, বিজেএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান প্রমুখ অংশ নেন।