তৈরি পোশাক শিল্পের জ্বালানি সাশ্রয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে সৌর বিদ্যুৎ। ইতোমধ্যে দেশের বড় কারখানাগুলোর কয়েকটি ছাদে সোলার প্যানেল বসিয়েছে। এতে দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় গ্রিড থেকে কম বিদ্যুৎ নিতে হচ্ছে কারখানাগুলোকে। তৈরি পোশাক শিল্পে জ্বালানি সাশ্রয়ের নতুন এই ধারণা ছড়িয়ে দিতে সম্প্রতি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে সরকারের টেকসই নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা)। তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজেএমইএ’র সঙ্গে হওয়া ওই এমওইউ’তে দেখা গেছে, এ ব্যবস্থায় নেট মিটারিং ব্যবস্থায় জোর দেওয়া হচ্ছে। প্রক্রিয়াটি বিদ্যুৎ বিভাগ কয়েক বছর আগে শুরু করেছে। সবাইকে এই প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা গেলে জ্বালানি সাশ্রয়ে বিপ্লব ঘটানো যাবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের। স্রেডা ও বিজেএমইএ’র আলোচিত এমওইউতে বলা হয়েছে, পোশাক কারখানার মালিকরা ছাদে সোলার প্যানেল বসিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। সেই বিদ্যুৎ কারখানায় ব্যবহারের পর অতিরিক্ত বিদ্যুৎ গ্রিডে সরবরাহ করা হবে। আবার যখন সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে না, তখন গ্রিড থেকে সেই বিদ্যুৎ কারখানায় ফেরত যাবে। যেদিন কারখানা বন্ধ থাকবে সেদিনও উৎপাদিত বিদ্যুৎ গ্রিডে সরবরাহ করা হবে। এই প্রক্রিয়ায় কারখানাগুলো অন্তত ৪০ ভাগ বিদ্যুৎ বিল কমাতে পারবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্বজুড়েই এখন কার্বন নিঃসরণ কমানোর ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। দেশে এখন পরিবেশবান্ধব তথা গ্রিন ফ্যাক্টরি আছে মাত্র সাতটি। এগুলো দেখেও ইদানীং অনেক বিদেশি ক্রেতা আকৃষ্ট হচ্ছে বলে জানা গেছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, মোট জ্বালানির ৪৮ ভাগ শিল্পখাত ব্যবহার করছে। এই জ্বালানির ৩০ ভাগ ব্যবহার করে টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাক খাত। এ খাত যদি জ্বালানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি ব্যবহার করে তবে ১৭ দশমিক ৬ ভাগ জ্বালানি সাশ্রয় হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্রেডার চেয়ারম্যান মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের নেট মিটারিং ইতোমধ্যে জনপ্রিয় হয়েছে। এখন পোশাকখাতের সকলে যদি এগিয়ে আসে তবে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ সাশ্রয় সম্ভব।’ বিজিএমইএ’র সাবেক প্রেসিডেন্ট ড. রুবানা হক বলেন, আমরা বাংলাদেশে আরও গ্রিন কারখানা করতে চাই। সরকারের সহযোগিতা বাড়াতেই স্রেডা’র সঙ্গে এমওইউ করা হয়েছে।