ঈদের সরকারি ছুটি তিনদিন হলেও প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট পোশাক কারখানায় মালিক-শ্রমিক আলোচনার ভিত্তিতে তা বাড়ানো যাবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।
পাশাপাশি সেই ছুটি পেয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ির পথে যাত্রা না করে শ্রমিকদের নিজ নিজ কর্মস্থলের আবাসে অবস্থান করার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১৩, ১৪ ও ১৫ মে রোজার ঈদের তিনদিনের সরকারি সাধারণ ছুটি শুরু হবে। এর আগে শ্রমিকদের ছুটি ও বেতন বোনাস বিষয়ে আলোচনা করতে রোববার রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রমভবনে আরএমজি বিষয়ক ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সভাপতির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঈদের সরকারি ছুটি তিনদিন। গার্মেন্টসসহ সব শিল্পখাতে শ্রমিকরা ছুটি পাওনা থাকলে কারখানা পর্যায়ে মালিক-শ্রমিক সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে ছুটি যে কয়দিনই নেন অবশ্যই কর্মস্থলেই থাকতে হবে। “সরকার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে গ্রামের বাড়িতে না গিয়ে সবাইকে নিজ নিজ কর্মস্থলে ঈদ উদযাপন করার নির্দেশনা দিয়েছে। সবাই কষ্ট করে হলেও মাস্ক পরুন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আপনারা বাড়ি যাবেন না। যেখানে আছেন এবারের ঈদ সেখানেই উদযাপন করুন।” প্রতিমন্ত্রী কারখানা মালিকদেরকে সোমবারের মধ্যেই শ্রমিকদের বেতন বোনাস পরিশোধের আহ্বান জানান। সোমবারই ৯৫ শতাংশ কারখানায় বেতন দেওয়া হয়ে যাবে বলে আশ্বস্ত করেন বিজিএমইএর সহ সভাপতি এসএম মান্নান কচি ও বিকেএমইএর সহ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। কিছু কিছু পোশাক কারখানা কার্যাদেশের চাপ কম থাকার কারণে ইতোমধ্যেই শ্রমিকদেরকে ঈদের ছুটি দিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, যেসব কারখানায় ইতোমধ্যেই ১০ দিনের ছুটি দেওয়া হয়েছে তাদের কাজ নেই। ঈদের আগেই সব কারখানায় বেতন-বোনাস হবে। বিজিএমইএর সিনিয়র সহ-সভাপতি এস এম মান্নান কচি বলেন, “শ্রমিকদের তিন দিনের বেশি ছুটি দিতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। ইতোমধ্যেই ৮০ শতাংশের বেশি কারখানায় বেতন দেওয়া হয়েছে। আগামীকালকের মধ্যে ৯৫ শতাংশ তৈরি পোশাক কারখানার বেতন দেওয়া হবে। বাকিটা ঈদের আগেই দেওয়া হবে।” সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম, অতিরিক্ত সচিব রেজাউল হক, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক নাসির উদ্দীন আহমেদ, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গৌতম চক্রবর্তী, বিজিএমইএর সিনিয়র সহ সভাপতি এস এম আব্দুল মান্নান কচি, সহ সভাপতি নাছির উদ্দিন, বিকেএমইএর সিনিয়র সহ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম ও গার্মেন্টস শিল্পের বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা অংশ নেন।