বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান বলেছেন, জ্বালানির দক্ষ ব্যবহার নিশ্চিত করতে না পারলে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কঠিন হবে। গার্মেন্ট এবং টেক্সটাইল শিল্পে প্রতিযোগিদের তুলনায় জ্বালানি ব্যবহারে আমাদের অবস্থান কোথায় তা নিয়ে সমীক্ষা হওয়া প্রয়োজন। আজ শনিবার (২২মে) টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা) ও জার্মান উন্নয়ন সংস্থা জিআইজেড এর সহায়তায় এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার ম্যাগাজিন আয়োজিত ‘ওয়ার্কিং গ্রুপ কনসেপ্ট টু প্রমোট এনার্জি ইফিসিয়েন্সে ইন গার্মেন্ট অ্যান্ড টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব এসব কথা বলেন। ম্যাগাজিনের সম্পাদক মোল্লাহ আমজাদ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জিআইজেড এর রিনিয়েবল এনার্জি অ্যান্ড এনার্জি এফিসিয়েন্সি প্রোগ্রামের সিনিয়র এডভাইজার শফিকুল আলম। আলোচনায় অংশ নেন বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন, স্রেডার চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. নুরুল ইসলাম, জিআইজেড’র (ভিয়েতনাম) মারকুস বিসেলসহ অন্যরা।
বিদ্যুৎ সচিব বলেন, দিনের শেষে আমাদেরকে প্রতিযোগিতা করতে হবে। জ্বালানির দক্ষ ব্যবহার ও ব্যয় কম রাখা খুবই জরুরি। বিদ্যুৎ বিভাগ এসব ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বস্ত্র ও গার্মেন্ট খাত থেকে ৮৫ শতাংশ রফতানি আয় আসে। জ্বালানির সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত করতে অনেক শিল্প কাজ করছে, কিন্তু অনেক শিল্পকে এখনও এর আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। অন্তত সহজে যেসব বিষয় অর্জন করা সম্ভব, সেগুলো ব্যবহার করা সম্ভব। বিজিএমইএ প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান বলেন, জ্বালানিসহ সকল সম্পদের দক্ষ ব্যবহার নিশ্চিত করতে গার্মেন্ট সেক্টর সম্ভাব্য সকল ক্ষেত্রে কাজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। বিজিএমই ৩টি মেম্বার কোম্পানি ওয়ার্কিং গ্রুপ কনসেপ্টে কাজ করছে। তিনি জানান, পরিবেশ সংরক্ষণে বিজিএমই কাজ করছে। প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য তৈরি পোশাক শিল্প জ্বালানি দক্ষতা বাড়ানোর জন্য অনেক কাজ করেছে। জ্বালানি বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ইজাজ হোসেন বলেন, গার্মেন্ট শিল্প একটি বড় সেক্টর, ওয়ার্কিং গ্রুপ কনসেপ্ট ভাল কনসেপ্ট, কিন্তু ছোট ছোট কারখানায় কিভাবে বাস্তবায়ন হবে সেটি নিয়ে সংশয় রয়েছে। কেননা তাদের প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবলই। স্রেডার চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, নেট মিটারিং এর আওতায় সোলার হোম সিস্টেম আমাদের একটি বড় অর্জন। বস্ত্র ও তৈরী পোষাক খাতের কারখানাগুলোতে জ্বালানি দক্ষ ব্যবহার নিশ্চিত করতে বর্তমান উদ্যোগ সাফল্য বয়ে আনবে।