মহামারি করোনাভাইরাস আর লকডাউনের কারণে ভারতে গার্মেন্টস কারখানাগুলোর রফতানি চুক্তি বাতিল হচ্ছে। মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দিল্লী, মুম্বাই, কলকাতার হাজার হাজার গার্মেন্টস কারখানা। ক্রয়াদেশ বাতিল হচ্ছে, লোকসানের মুখে পড়েছে পুরো শিল্প। গার্মেন্টস কারখানাগুলো ভারতে সরাসরি লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের নির্ভরতার জায়গা। দেশের তৈরি পোশাক খাত ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে জায়গা করে নিয়েছিলো সারাবিশ্বে। কিন্তু করোনার ছোবলে পুরোটাই বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে এ খাত। ব্যস্ত এ কারখানাগুলো থেকে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, কানাডার বড় বড় ফ্যাশন হাউজে পোশাক রফতানি হওয়ার কথা থাকলেও এখন সেখানে শুধুই স্থবিরতা। একদিকে কর্মী সংকট, অন্যদিকে অর্ডার বাতিল। সব মিলিয়ে লুধিয়ানা শহরের গার্মেন্টস কারখানাগুলো উৎপাদন প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভারতের পাওয়ার কথা থাকলেও ক্রয়াদেশগুলো চলে যাচ্ছে বাংলাদেশ কিংবা ভিয়েতনামে। গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতের লোকসান হচ্ছে। প্রতিবেশী দেশগুলোর কিন্তু লাভই হচ্ছে। দেশের ভুল নীতির জন্য অন্যরা তৈরি পোশাকখাতে জায়গা করে নিয়েছে। দেশের তৈরি পোশাক খাতের নীতিগুলো শক্তিশালী থাকলে কোন দেশই ভারতকে টেক্কা দিতে পারতো না। করোনার দ্বিতীয় ধাপের সংক্রমণ মোকাবিলা করছে ভারত। প্রতিদিনই আক্রান্ত আর মৃত্যুহার ছাড়িয়ে যাচ্ছে রেকর্ড। আস্থা হারাচ্ছেন বিদেশি ক্রেতারা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনা মহামারির কারণেই যতো সমস্যা তৈরি হয়েছে। এখন ক্রয়াদেশ দেয়ার সময়, এখনই দেশের এই দুর্দশা। বিদেশি ক্রেতাদের আস্থা ফিরবে কিভাবে। অর্ডার সব অন্য দেশে চলে যাচ্ছে হাতছাড়া হয়ে। মহামারির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশটির তৈরি পোশাক খাত, এ খাতের সাথে সংশ্লিষ্ট ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ। বিশ্বের নামিদামি ব্র্যান্ড ক্রয়াদেশ বাতিল করছে, চাচ্ছে মূল্যছাড়ও।