বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে নিয়োজিত নারী শ্রমিকের জীবন-জীবিকা রক্ষায় উদ্ভাবনী পদ্ধতির উপর জোর দিযে তিন দিনব্যাপী ভার্চুয়াল বৈশ্বিক কনফারেন্স মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে।
‘স্টিচ ফর আরএমজি গ্লোবাল ইনোভেশন’ শীর্ষক কনফারেন্সটি যৌথভাবে আয়োজন করছে ব্র্যাক এবং সুইডিশ ফ্যাশন ব্র্যান্ড এইচঅ্যান্ডএম ফাউন্ডেশন।
ব্র্যাক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বহুমুখী অংশীদারত্বের মাধ্যমে দেশের তৈরি পোশাক খাতে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতে রুপরেখা তৈরি করার লক্ষ্যে কনফারেন্সটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
এতে যোগ দেবেন সংশ্লিষ্ট খাতের দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞরা। এই খাতে অটোমেশনের কারণে নারী শ্রমিকদের চাকরিচ্যুতি থেকে রক্ষা এবং শিল্প প্রতিযোগিতা কমে আসার বিষয়ে তারা আলোচনা করবেন।
কনফারেন্সে অংশ নিবেন এইচঅ্যান্ডএম এর প্রধান নির্বাহী হেলেনা হেলমারসন এবং বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানিকারক ও মালিক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান।
কোন খরচ ছাড়াই আগ্রহীরা শনিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত কনফারেন্সটিতে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। রেজিস্ট্রেশনের জন্য যোগাযোগ করতে হবে stitchforrmg.brac.net এই ঠিকানায়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ব্র্যাক এবং এইচঅ্যান্ডএম ফাউন্ডেশন ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে এই খাতের নারী শ্রমিকদের জীবিকা রক্ষায় পাইলট প্রকল্প পরিচালনা করছে।
মূলত দুই ধাপের পাইলট প্রক্রিয়ার প্রথম অংশ হচ্ছে এই কনফারেন্স। এর মাধ্যমে সংগৃহীত জ্ঞান কাজে লাগানো হবে দ্বিতীয় ধাপে আয়োজিত বৈশ্বিক উদ্ভাবনী চ্যালেঞ্জের আয়োজনে। সেই চ্যালেঞ্জে বিজয়ী ৬টি আইডিয়াকে বাস্তবে রূপান্তরের জন্য এই প্রকল্প থেকে মোট ১ লাখ ৮০ হাজার ডলার সহায়তা এবং তত্ত্বাবধান করা হবে।
এইচঅ্যান্ডএম ফাউন্ডেশনের স্ট্র্যাটেজি লিড শার্লট ব্রানস্ট্রম বলেন, “ভবিষ্যতে গার্মেন্টস শিল্পে নারীদের কি ধরনের দক্ষতার প্রয়োজন হতে পারে তা খুঁজে বের করার বিষয়ে আমরা উচ্চাশা প্রকাশ করছি।
“আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং অটোমেশনের মধ্যেও নারীরা যাতে সফলভাবে তাদের কাজ চালিয়ে যেতে পারেন সেজন্য তাদেরকে তৈরী এবং দক্ষতা বৃদ্ধি এবং এর মাধ্যমে তাদের জীবন জীবিকা রক্ষাই আমাদের দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য।”
ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ বলেন, “বাংলাদেশের ধারাবাহিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে নারীরা বড় ভূমিকা রেখে চলেছেন। পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাওয়া এই খাতের নারী কর্মশক্তিকে পিছনে ফেলে রাখলে চলবে না। এই প্রকল্পের মাধ্যমে উদ্ভাবনকে মূলধারায় সংযুক্ত করে নারীদের দক্ষতা আরো বাড়াতে হবে। আমরা আশাবাদী-এটা হবে প্রযুক্তিনির্ভর এবং সাম্যতাপূর্ণ।”