প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটকে চ্যালেঞ্জিং তবে অবাস্তব নয় বলে মনে করছে পোশাক কারখানা মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ।
বাজেটকে ব্যবসাবান্ধব বললেও সংগঠনটি মনে করছে। তারা নতুন যেসব দাবি পেশ করেছিল সেগুলো বাস্তবায়ন হয়নি বলেও জানায়।
পোশাক শিল্পের বিকাশ, রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ম্যান মেইড ফাইবার বা কৃত্রিম সুতার বিকল্প নেই উল্লেখ করে এ খাতে তারা ১০ শতাংশ প্রণোদনা দাবি করে।
শনিবার রাজধানীর উত্তরার বিজিএমইএ কার্যালয়ের ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনটি।
বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এ ছাড়া তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
ফারুক হাসান বলেন, নগদ সহায়তার ওপর আরোপিত ১০ শতাংশ কর প্রত্যাহারের অনুরোধটি পুনর্বিবেচনার আবেদনের দাবি করছি। একই সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় অপ্রচলিত বাজারে রফতানি ধরে রাখতে প্রণোদনার হার ৪ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৫ শতাংশের দাবি জানাই। শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মূলধন যন্ত্রাংশের ওপর আরোপিত এক শতাংশের অতিরিক্ত সব শুল্ককর মওকুফ করার জন্য পুনরায় অনুরোধ করছি। প্রস্তাবিত বাজেটে কর্পোরেট কর ২ দশমিক ৫ শতাংশ কমানো হয়েছে। আমদানি পর্যায়ে ভ্যাটের আগাম কর (এটি) চার শতাংশ থেকে কমিয়ে তিন শতাংশ করা হয়েছে। এ আগাম কর সম্পূর্ণ বিলুপ্ত করার প্রস্তাব করছি।
বাজেট ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা ঋণ নেয়ার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। এর মধ্যে ব্যাংকিং খাত থেকে ৭৬ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র থেকে ৩২ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে আরো ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়ার লক্ষ্য ধরা হয়েছে।
বিশাল অঙ্কের এই অভ্যন্তরীণ ঋণের প্রভাবে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে কি না জানতে চাইলে ফারুক হাসান বলেন, ‘আমার মনে হয় না এতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহে কোনো প্রভাব পড়বে। বিদেশি উৎস থেকেও ঋণ নেয়ার সুযোগ আছে। এ প্রক্রিয়াগুলো সহজ করতে হবে।’
সামগ্রিকভাবে এই বাজেট প্রস্তাবনাকে ১০০ নম্বরের মধ্যে কত নম্বর দেবে বিজিএমইএ জানতে চাইলে তিনি ৬০ নম্বর দেওয়া যায় বলে মন্তব্য করেন ফারুক হাসান।