করোনা ভ্যাকসিন প্রাপ্তি সাপেক্ষে অর্থনীতির সম্মুখ সারির যোদ্ধা তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনা টিকা দেয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাতীয় অর্থনীতিতে পোশাক শিল্পের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, যে এ শিল্পের শ্রমিকরা অর্থনীতিতে অনবদ্য ভ‚মিকা রাখছেন। তাই, করোনা টিকায় তারা অগ্রাধিকার পাবেন। বুধবার (১৬ জুন) বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের নেতৃত্বে বিজিএমইএ প্রতিনিধিদল স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেকের সাথে তার সচিবালয়স্থ কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করে তৈরি পোশাক শিল্পের অবদান বিবেচনায় নিয়ে এ শিল্পে কর্মরত শ্রমিক, কর্মকর্তা/কর্মচারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনা ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ জানালে তিনি এ আশ্বাস দেন। বিজিএমইএ সভাপতি তৈরি পোশাক কারখানায় কর্মরত বিদেশী কর্মকর্তা এবং আন্তর্জাতিক বিদেশী ব্র্যান্ডের কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবারবর্গের জন্য ৮০০ থেকে ৯০০ করোনা ভ্যাকসিন বরাদ্দের জন্যও স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন। বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, জরুরি করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় বছর খানেক আগে বিজিএমইএ’র কিছু সদস্য প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় ঔষধাগারকে (সিএমএসডি) পিপিই সরবরাহ করে। কিন্তু সিএমএসডি পরিচালক আবু হেনা মোরশেদ জামানের একগুয়েমিতে অদ্যাবধি সিএমএসডি মূল্য পরিশোধ করেনি। এতে সংশ্লিষ্ট কারখানাগুলো আর্থিক সঙ্কটে পড়েছে এবং এই সঙ্কটে থেকেই কারখানাগুলোকে ব্যাংকের ঋণের সুদ পরিশোধ করতে হচ্ছে। উল্লেখ্য, সিএমএসডিতে পিপিই সরবরাহ করা এসব কারখানাগুলোতে প্রায় ৩৭ হাজার শ্রমিক কর্মরত রয়েছে। কারখানাগুলোর পাওনার পরিমাণ ৩৬ কোটি টাকারও অধিক। বিজিএমইএ সভাপতি এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে সহযোগিতা প্রদানের অনুরোধ জানালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বিষয়টি সুরাহার জন্য মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। বিজিএমইএ প্রতিনিধিদলে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সভায় বিজিএমইএ এর প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মো. শহিদউল্লাহ আজিম ও সহ-সভাপতি মিরান আলী। সভায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া এবং স্বাস্থ্যসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) প্রফেসর ড. এবিএম খুরশীদ আলম উপস্থিত ছিলেন।