আসন্ন ঈদুল আজহায় যাতে দেশে অবৈধভাবে গবাদি পশু প্রবেশ করতে না পারে এবং পশুর চামড়া যাতে পাচার না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখার আহ্বান জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
তিনি বলেন, কোরবানির জন্য দেশে পর্যাপ্ত সংখ্যক গবাদি পশু রয়েছে।কোনো গবাদি পশু আমদানি করতে হবে না।
সোমবার (২১ জুন) ভার্চ্যুয়ালি চামড়াখাতের উন্নয়নে সুপারিশ প্রদান ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে টাস্কফোর্সের তৃতীয় সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা, বিসিক চেয়ারম্যান মোশতাক হাসান এনডিসি, জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. শাহেদ আলী, অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সাইদুর রহমান, বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. শাহিন আহমেদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহায় কোনোভাবেই চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণে যাতে অব্যবস্থাপনা তৈরি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কোরবানির চামড়া সংরক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ লবণের মজুদ রয়েছে। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে কোরবানির চামড়া ছাড়ানো, সংগ্রহ ও সরংক্ষণে স্বাস্থ্যগত সুরক্ষার বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পের পরেই চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য শিল্পের অবস্থান। চামড়া শিল্পখাত যাতে ঘুরে দাঁড়াতে পারে সে লক্ষ্যে ট্যানারি মালিক, আড়ৎদার, চামড়াখাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ধরনের কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকসহ সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
সভায় বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, খুব শিগগিরই ব্যবসায়ীদের নিয়ে চামড়ার মূল্য নির্ধারণের সভা করা হবে। নির্ধারিত দামে চামড়া ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য মনিটরিং টিম গঠন করতে হবে।