এই গরমে আরাম এবং ফ্যাশনেবল থাকা দু’টির সমন্বয় করতে অনেকেই হিমশিম খান। গরমে প্রত্যেকেরই প্রথম পছন্দ সুতির পোশাক।এই পোশাকগুলো যদি হয় ইকো ওয়্যার তাহলে তো কথাই নেই।
আমাদের দেশে খেশ কাপড় নামে যে হাতে তৈরি নরম সুতি কাপড় পাওয়া যাচ্ছে এগুলোই আসলে ইকো ওয়্যার বা পরিবেশ বান্ধব।
পোশাক তৈরি করার ক্ষেত্রে উৎপাদন, ডিজাইন এবং মেটিরিয়্যাল কোথা থেকে আসছে সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলায় খেশ শাড়ি তৈরি হয়ে থাকে। তাঁতিরা তাদের কাজের মাধ্যমে নান্দনিক সব ডিজাইন ফুঁটিয়ে তুলছেন কাপড়ে। পুরাতন কাপড়ের এমন কার্যকরী ব্যবহার প্রশংসার দাবিদার। অনেকই আছেন যাদের খেশ কাপড় সম্পর্কে ধারণা নেই। কিন্তু আমাদের দেশের ভৌগোলিক দিক যদি চিন্তা করি খেশ শাড়ি পরিধানে আমরা সাচ্ছন্দ্য বোধ করব। কারণ পুরাতন সুতি কাপড় দিয়ে খেশ শাড়ি তৈরি হয়ে থাকে এবং দেখতেও অনেক সুন্দর।
পুরাতন কাপড় দিয়ে খেশ তৈরি হয় বলে এই পোশাকগুলো পরতেও আরাম। খেশ দিয়ে শুধু শাড়িই নয় থ্রি পিস, পাঞ্জাবি, শিশুদের পোশাক, ব্যাগ, চাদর, পর্দা ইত্যাদি তৈরি হয়ে থাকে। একটি সিঙ্গেল বেডের চাদরের জন্য ছয়টি কাপড় লাগে আর ডাবল বেডের জন্য ১২টি। খেশ শাড়িগুলো এক রঙের হয়ে থাকে। খেশের মূল বৈশিষ্ট্য হলো পুরাতন কাপড় ছাড়া এটা তৈরি করা যাবেনা। প্রতিদিন একজন তাঁতি মাত্র দু’টি শাড়ি বুনতে পারেন।
খেশ কাপড় দিয়ে অনেক ধরনের ফিউশন আনা হয়েছে যেন তরুণ প্রজন্মের কাছে তা গ্রহণ যোগ্যতা পায়। পুরনো জিনিস রিসাইকেল করে তৈরি হয়েছে ফ্যাশানেবল জামাকাপড়। আর সবার আয়ত্তের মধ্যেই রয়েছে এসব কাপড়ের দাম।