আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশন (এএএফএ) আয়োজিত বৈঠকে প্রথমবারের মতো আমন্ত্রণ পেয়েছে অংশ নিয়েছেন দেশের তৈরি পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি। আর বৈঠকে অংশ নিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান রেসপনসিবল সাপ্লাই চেইন, ইথিক্যাল সোর্সিং ও সোশ্যাল অডিট পরিচালনার জন্য ইউনিফায়েড কোড অব কন্ডাক্টের ওপর জোর দেওয়ার কথা তুলে ধরেন।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিজিএমইএ জানিয়েছে, এদিন এএএফএ আয়োজিত ওই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে অংশ নেন ফারুক খান। এই বৈঠকে তার অংশ নেওয়ার মাধ্যমে সংগঠন দু’টির মধ্যেকার কৌশলগত অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা প্রকাশ পেয়েছে।
ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি ‘সরবরাহ চেইনের ওপর কোভিডের প্রভাব- সরবরাহকারীদের দৃষ্টিভঙ্গী’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন। আলোচনায় তিনি বলেন, কোভিড-১৯-এর চলমান কঠিন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ও দেশের তৈরি পোশাক শিল্প স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে রফতানি কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
ফারুক হাসান দায়বদ্ধ ব্যবসা অনুশীলন ও সামাজিকভাবে দায়বদ্ধ সরবরাহ চেইনের সাথে সম্পর্কিত প্রাসঙ্গিক ইস্যুগুলো, বিশেষ করে নৈতিক সোর্সিং (ইথিক্যাল সোর্সিং) ও ক্রয় অনুশীলন (পারচেজিং প্র্যাকটিস) বিষয়গুলো আলোচনায় উত্থাপন করেন। পণ্যের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা যে শিল্পকে টেকসই করার জন্য উদ্যোক্তাদের গৃহীত উদ্যোগগুলোর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়, সেটিও তিনি আলোচনায় তুলে ধরেন।
বিজিএমইএ সভাপতি তার বক্তব্যে সামাজিক নিরীক্ষা (সোস্যাল অডিট) পরিচালনার জন্য ইউনিফায়েড কোড অব কন্ডাক্টের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, এই কোড অব কন্ডাক্ট থেকে ক্রেতা, উৎপাদনকারী এবং শ্রমিক সবার ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে। ব্যবসাকে আরও টেকসই করা ও ভালো রাখার জন্য ব্যবসাগুলোর নিজেদের মধ্যে এবং সংগঠনগুলোর নিজেদের মধ্যে সহযোগী ও কৌশলগত অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার উপর ব্যাপক গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
ভার্চুয়াল কনফারেন্সে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক শ্রম বিষয়ক উপসচিব থিয়া লি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও শ্রম ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত প্রধান (প্রিন্সিপাল) উপসহকারী সচিব স্কট বাসবি এবং যুক্তরাষ্টের বাণিজ্য প্রতিনিধি (ইউএসটিআর) দফতরের শ্রম বিষয়ক পরিচালক চরিতা কাস্ত্রো। এএএফএ’র পলিসি বিষয়ক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নাট হারম্যান ছিলেন এই বৈঠকের আয়োজক।