Home বাংলা নিউজ কঠোর লকডাউনে ভোগান্তিতে পোশাক শ্রমিকরা

কঠোর লকডাউনে ভোগান্তিতে পোশাক শ্রমিকরা

করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে সারাদেশে চলমান কঠোর লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও পোশাক কারখানা খোলা রয়েছে। এতে পোশাক শ্রমিকরা কারখানায় যেতে যানবাহন সংকটে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।

সরেজমিন গাজীপুর, টঙ্গী, কামারপাড়া ও সাইনবোর্ড এলাকায় ঘরে দেখা গেছে, কঠোর লকডাউনে অধিকাংশ কারখানায় নিজস্ব পরিবহন না থাকায় হেঁটে যাচ্ছেন পোশাক শ্রমিকরা। স্বল্প বেতনে সাশ্রয়ী বাসা পেতে তারা কারখানা থেকে দূরে থাকেন। দূর থেকে হেঁটে আসতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। করোনা মহামারির এই সময়েও কারখানায় দু-এক মিনিট দেরি হলেই শ্রমিকদের বেতন কাটা হচ্ছে।

করোনা মহামারির সময়ে বিভিন্ন সেক্টরে মন্দাভাব থাকলেও পোশাক শিল্প ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সরকারি সহযোগিতা আর ক্রেতাদের নতুন করে পণ্যের অর্ডারে ঘুরে দাঁড়ায় পোশাক শিল্প। তাতে উদ্যোক্তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশে চলমান লকডাউনের মধ্যেও উৎপাদন অব্যাহত রাখেন। কারখানাগুলো সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে শতভাগ মাস্ক পরা নিশ্চিত করায়। একই সঙ্গে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া ও শারীরিক দূরত্বও গুরুত্ব পাচ্ছে কারখানায়।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ওএসকে গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ দত্ত বলেন, কারখানার আশেপাশে বাড়ি ভাড়া বেশি হওয়ায় স্বল্প বেতনে সাশ্রয়ী বাড়িতে ভাড়া থাকতে বেশিরভাগ পোশাক শ্রমিক কারখানা থেকে দূরে থাকেন।

তিনি বলেন, কারখানা থেকে দূরে থাকা শ্রমিকরা গণপরিবহনে চলাচল করেন। কিন্তু এখন তা বন্ধ হওয়ায় শ্রমিকদের আসা-যাওয়ায় বড় ভোগান্তি তৈরি হয়েছে। অনেকে ভাড়া বাঁচাতে একসঙ্গে ছোট গাড়ি-রিকশায় আসছেন। এতে আরও স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। পরিবহন ব্যবস্থার অভাবে কোনো শ্রমিক কারখানায় উপস্থিত হতে না পারলে তাকে চাকরিচ্যুতির হুমকি দিচ্ছে, বেতন কাটা হচ্ছে।

বিজিএমইএ’র পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, পোশাক শ্রমিকদের টিকা চেয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সোমবার (০৫ জুলাই) চিঠি দেওয়া হয়েছে।

তৈরি পোশাক শিল্প উদ্যোক্তা এবং বিকেএমইএ’র সহ-সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, পোশাক শ্রমিকদের করোনা সংক্রমণরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পোশাক কারখানায় কাজ করানো হচ্ছে। নিজস্ব পরিবহনে শ্রমিকদের কারখানায় আনার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here