Home বাংলা নিউজ গার্মেন্টস চালুর দাবিতে বিজিএমইএকে বায়িং হাউস অ্যাসোসিয়েশনের চিঠি

গার্মেন্টস চালুর দাবিতে বিজিএমইএকে বায়িং হাউস অ্যাসোসিয়েশনের চিঠি

মহামারি মোকাবিলা করে ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলো পোশাকের বাজার ইতোমধ্যে খুলতে শুরু করেছে। চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের কার্যাদেশও বাড়ছে।

কার্যাদেশ অনুযায়ী সময়মতো উৎপাদন ও প্রেরণ নিশ্চিত করতে না পারলে বাংলাদেশ সম্পর্কে বৈশ্বিক বায়ারদের নেতিবাচক ধারণা তৈরি হবে।

অবস্থা বিবেচনায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে দ্রুততম সময়ে কারখানা খুলে দিতে পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস বায়িং হাউস অ্যাসোসিয়েশন।

মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সংগঠনটির সভাপতি কাজী ইফতেখার হোসাইন স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে এ অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এদিকে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান জানিয়েছেন, লকডাউনের কারণে ঈদের পর থেকে পোশাক শিল্পের উৎপাদন বন্ধ। বায়ারদের নতুন ক্রয়াদেশ স্থগিত। পুরোনো ক্রয়াদেশ নিয়ে তাদের সঙ্গে সমঝোতা হচ্ছে। আমরা ১ আগস্ট থেকে রফতানিমুখী কারখানাগুলোকে বিধিনিষেধের বাইরে রাখার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছি।

তিনি বলেন, বায়াররা হয়তো দেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন। কিন্তু ক্রয়াদেশ বাতিল করলে তারা অন্য দেশে অর্ডার দেবে, যেখানে চলমান লকডাউনেও উৎপাদন আছে। ফলে বড় ক্ষতির মুখে পড়বে দেশ। রেমিট্যান্স হারানোর শঙ্কা দেখা দেবে।

বিজিএমইএ সভাপতি বরাবর চিঠিতে অনুরোধ জানিয়ে বাংলাদেশ গার্মেন্টস বায়িং হাউস অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, ‘সম্প্রতি করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বগতির কারণে পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু মহামারি মোকাবিলা করে আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলোর পোশাকের বাজার ইতোমধ্যে খুলতে শুরু করেছে। চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের কার্যাদেশও বাড়ছে। এ কার্যাদেশ সময়মতো গার্মেন্টসে উৎপাদন ও প্রেরণ নিশ্চিত করতে না পারলে বাংলাদেশ সম্পর্কে বৈশ্বিক বায়ারদের নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হবে।’

চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘ইতোমধ্যে আমাদের বায়াররা এসব বিষয়ে খোঁজ-খবর নেয়া শুরু করেছেন। এছাড়া তৈরি পোশাক শ্রমিকদের কর্মস্থলে আনা, তাদের দ্রুত টিকাদান এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার কার্যপরিকল্পনা নেয়া প্রয়োজন। মহামারিকালে শ্রমিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি দ্রুততম সময়ে কারখানা খুলে দেয়ার পরিকল্পনা নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা দরকার। যাতে কর্মীদের টিকাদান ও বেতন-ভাতা যথাসময়ে দেয়া সম্ভব হয়। এমতাবস্থায় বৈশ্বিক বায়ারদের তৈরি পোশাকের কার্যাদেশ কমপ্লায়েন্স এবং গার্মেন্টস শ্রমিকদের টিকাদান ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে দ্রুত কারখানা খুলে দেয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here