করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাবে সময়মত রপ্তানির মূল্য না পাওয়া ও লোকসানে পণ্য রপ্তানির কারণে তারল্য সংকট রোধে ঋণ পরিশোধের জন্য চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় চেয়েছে তৈরি পোশাক শিল্প মালিক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনরের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এ সময় চেয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
ফারুক হাসান চিঠিতে বলেছেন, করোনা ভাইরাসের অতিমারির প্রভাব মোকাবিলা করে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকখাত যাতে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধি ও সক্ষমতা ধরে রাখতে পারে, শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা চলমান রাখতে। সেজন্য সব ধরনের ঋণের বিপরীতে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণ শ্রেণিকরণ না করা এবং ঋণ পরিশোধে ব্যর্থতায় পুনঃতফসিলকরণের সুযোগ দেওয়া হোক।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেছেন, বিদেশি ক্রেতা এবং শ্রমিকদের ধরে রাখার জন্য সংকটকালীন সময়েও তৈরি পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা লোকসান দিয়ে তৈরি পোশাক রপ্তানি করে যাচ্ছে। ফলে বিদেশি ক্রেতাদের আস্থা বেড়েছে এবং রপ্তানি আদেশ দেওয়ারও পরিমাণ আগের চেয়ে বেড়েছে। কিন্তু এসব রপ্তানি আদেশের বিপরীতে পেমেন্ট পেতে আরও কয়েক মাস সময়ের প্রয়োজন হবে। যার কারণে উদ্যোক্তারা সাময়িক তারল্য সংকটের মধ্যে থাকবেন।
এ সব প্রতিকূলতার মধ্যেও উদ্যোক্তারা শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা চলমান রেখেছেন এবং তাদের বিনিয়োগ ধরে রাখার প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ব্যবসা-বাণিজ্য আগের মতো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে না আসায় এবং তারল্য সংকটের কারণে সব ধরনের ঋণের বিপরীতে কিস্তির টাকা সময়মত পরিশোধ করা উদ্যোক্তাদের পক্ষে বর্তমানে দুরূহ হয়ে পড়েছে।