- রফতানি পণ্য জাহাজীকরণে গতি এসেছে
কন্টেনারে আমদানি হওয়া সিংহভাগ পণ্যই পোশাক শিল্পের কাঁচামাল। একইভাবে রফতানির বেশিরভাগ পণ্যও তৈরি পোশাক। আমদানি, রফতানি এবং বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারির মধ্যে সামঞ্জস্য না থাকলে ইয়ার্ডে সৃষ্টি হয় পণ্যজট। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধের লকডাউনে শিল্প কারখানা বন্ধ থাকায় বড় ধরনের চাপের মুখে পড়েছিল চট্টগ্রাম বন্দর। ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যোক্তাদের দাবি ছিল কারখানাকে বিধিনিষেধের আওতার বাইরে রাখার। অবশেষে শিল্প কারখানা চালু হওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। চট্টগ্রাম বন্দর ইয়ার্ডের কন্টেনার ধারণক্ষমতা ৪৯ হাজার টিইইউএস। মঙ্গলবার সকালে কন্টেনার ছিল ৪২ হাজার ৪২ টিইইউএস। পরিস্থিতি বিবেচনায় সকল ধরনের কন্টেনার ১৯ বেসরকারী আইসিডিতে (অফডক) নিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা থাকায় ইয়ার্ডে কন্টেনার তেমন বাড়েনি। তবে চাপের মুখে পড়তে যাচ্ছিল অফডকগুলো। কিন্তু ১ আগস্ট থেকে কারখানা খুলে যাওয়ায় আমদানির পণ্য ডেলিভারি এবং রফতানির পণ্য জাহাজীকরণে গতি এসেছে। ফলে কন্টেনার জট পরিস্থিতিও উন্নতির দিকে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোঃ ওমর ফারুক জনকণ্ঠকে জানান, কারখানা চালু হওয়ার পর পণ্য ডেলিভারির পরিমাণ বাড়ছে, যা একেবারেই কমে গিয়েছিল। সোমবার বন্দর থেকে কন্টেনার ডেলিভারি হয়েছে ৪ হাজার ৪৬০ টিইইউএস। মঙ্গলবার জেটিতে কন্টেনার শিপ ছিল ১১টি। খালাসের জন্য বহির্নোঙ্গরে অপেক্ষমান কন্টেনার জাহাজ ১০টি। তিনি জানান, ঈদের পরে কন্টেনার আমদানি এবং ডেলিভারির মধ্যে বড় ধরনের অসামঞ্জস্য থাকায় জট পরিস্থিতির আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল। এ অবস্থায় এনবিআর-এর নির্দেশনা অনুযায়ী সকল কন্টেনার অফডকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ নির্দেশনা ৩১ আগস্ট পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। তবে এরমধ্যে শিল্প কারখানাগুলো খুলে যাওয়ায় সঙ্কট আর বৃদ্ধি পাওয়ার শঙ্কা নেই বলে তিনি জানান।
বেসরকারী আইসিডি মালিকদের সংগঠন বিগডা’র সচিব রুহুল আমিন সিকদার জানান, অফডকগুলোর মোট কন্টেনার ধারণ ক্ষমতা ৭৮ হাজার ৭শ’ টিইইউএস। মঙ্গলবার ছিল ৫৫ হাজার ৬৭৮ টিইইউএস কন্টেনার। এরমধ্যে আমদানির কন্টেনার ১২ হাজার ৯৯৪ এবং রফতানির কন্টেনার ৭ হাজার ২৪৯। এছাড়া খালি কন্টেনার রয়েছে ৩৫ হাজার ৪৪৫ টিইইউএস। তিনি জানান, নির্দেশনা অনুযায়ী বন্দর থেকে সকল ধরনের কন্টেনার অফডকে নিয়ে আসার কাজ অব্যাহত রয়েছে, যা চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কন্টেনার বন্দর থেকে অফডকে এসেছে। পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র প্রথমসহ সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, বন্দর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কল কারখানা খুলে না দিয়ে উপায় ছিল না।