বাংলাদেশ ও ভারত দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ব্যবস্থায় সহযোগিতা সম্প্রসারণের মাধ্যমে বিশেষ করে পোশাক ও বস্ত্রখাতে বাণিজ্য সুফল ভোগ করতে পারে বলে মনে করেন তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) বিজিএমইএ কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে বিজিএমইএ সভাপতি এসব কথা বলেন।
ফারুক হাসান বলেন, পোশাক ও বস্ত্র ব্যবসার সম্প্রসারণের জন্য বাংলাদেশ ও ভারত একসঙ্গে কাজ করার বিপুল সুযোগ রয়েছে।
এ সময় বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি মো. শহিদউল্লাহ আজিম, পরিচালক আসিফ আশরাফ, মো. মহিউদ্দিন রুবেল, তানভীর আহমেদ, আব্দুল্লাহ হিল রাকিব, ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশনের ডেপুটি হাই কমিশনার ড. বিনয় জর্জ ও বানিজ্যিক প্রতিনিধি ড. প্রম্যেশ বাসাল উপস্থিত ছিলেন।
ভারতীয় হাইকমিশনার ও বিজিএমইএ সভাপতি রপ্তানি-আমদানি বিশেষ করে তৈরি পোশাক ও বস্ত্র শিল্পে বিরাজমান সমস্যাগুলো এবং সেগুলোর সমাধানের সম্ভাব্য উপায়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, বাংলাদেশ পোশাক শিল্পের কাঁচামাল বিশেষ করে মেশিনারিজ, কটন, ফেব্রিক্স, রাসায়নিক উপকরণ ও রং আমদানির জন্য ভারতের ওপর নির্ভর করে। অন্যদিকে, ভারত বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের জন্য একটি সম্ভাবনাময় বাজার। ভারতের স্থানীয় বাজারের আকার বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বাংলাদেশ এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারে। তাই, বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশ বাণিজ্য স্বার্থের জন্য একে অপরের পরিপূরক।
তিনি ভারতীয় হাই কমিশনারকে সময় ও ব্যয় সাশ্রয়ের জন্য বেনাপোলসহ স্থল বন্দরগুলোর মাধ্যমে বাণিজ্য সহজীকরণের অনুরোধ জানান। তিনি ব্যবসার প্রয়োজনে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ভ্রমণের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজতর করা ও ফ্লাইট চালু করারও অনুরোধ জানান।