তৈরি পোশাক রফতানি কনটেইনার যথাসময়ের মধ্যে জাহাজিকরণের জন্য পোশাক শিল্পের ক্রেতাদেরকে অধিক সংখ্যক শিপিং লাইনার ও অফ-ডক মনোনয়ন দেয়ার জন্য অনুরোধ করেছে পোশাক শিল্প মালিক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) বিজিএমইএ অফিসে অনুষ্ঠিত ক্রেতা ও মেইনলাইন অপারেটর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান এ সহযোগিতার অনুরোধ জানান।
সভায় বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরে ক্রেতাদের পক্ষ থেকে শিপিং লাইনার ও অফ-ডক নির্ধারিত করে দেয়ার কারণে পোশাক শিল্পের রফতানি পণ্যবাহী কনটেইনারগুলোকে বন্দরে অতিরিক্ত ১০-১৫ দিন থাকতে হচ্ছে। এতে করে বন্দরে কনটেইেনার জট দেখা দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক ক্রেতা বাংলাদেশ থেকে বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করলেও মাত্র একটি অথবা দুটি শিপিং লাইন ও ফরওয়ার্ডারের মনোনয়ন দেয়। পাশাপাশি ক্রেতারা রফতানি পণ্যের জাহাজিকরণের জন্য ৪-৫টি অফ-ডক অনুমোদন দেয়। এতে করে জাহাজিকরণে বিলম্ব হয়। ফলশ্রুতিতে রফতানি অর্থ প্রত্যাবাসিত হতে বিলম্বিত হয়। যার জন্য রফতানিকারকদেরকেও অতিরিক্ত চার্জ মাশুল দিতে হচ্ছে।’
বিজিএমইএ সভাপতি এই সমস্যা সমাধানের জন্য ক্রেতাদেরকে অধিক সংখ্যক শিপিং লাইনার ও অফ-ডক মনোনয়ন দেয়ার জন্য অনুরোধ জানান।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিজিএমইএ চট্টগ্রাম বন্দরে সৃষ্ট রফতানি কনটেইনার জট নিরসনের জন্য এইচঅ্যান্ডএম, এমঅ্যান্ডএস-সহ বায়ার্স ফোরামের মাধ্যমে পোশাক শিল্পের ক্রেতাদেরকে পত্র দিয়ে পরিস্থিতি অবহিত করে এ ব্যাপারে তাদের সহযোগিতা কামনা করে। এরই ফলশ্রুতিতে আজকের সভা হয়।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিজিএমইএর সহ-সভাপতি মিরান আলী, পরিচালক আসিফ আশরাফ, পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল, পরিচালক আবদুল্লাহ হিল রাকিব, সাবেক পরিচালক আশিকুর রহমান তুহিন, বিজিএমইএ’র পোর্ট অ্যান্ড শিপিং বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান হাসান আব্দুল্লাহ, বিকেএমইএ’র পরিচালক ফজলে শামীম এহসান, এইচ অ্যান্ড এম’র রিজিওনাল কান্ট্রি ম্যানেজার জিয়াউর রহমান, মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সারের কান্ট্রি ম্যানেজার স্বপ্না ভৌমিক ও শিপিং লাইন মার্কস্লাইনের কান্ট্রি হেড অংশুমান মিত্র মুস্তাফি।