Home বাংলা নিউজ টেকসই উন্নয়নে পোশাক শিল্পের বাইরেও সবুজ কারখানা প্রয়োজন

টেকসই উন্নয়নে পোশাক শিল্পের বাইরেও সবুজ কারখানা প্রয়োজন

দেশে তৈরি পোশাক শিল্প খাতে দেড় শতাধিক সবুজ কারখানা রয়েছে। তবে টেকসই উন্নয়নে অন্যান্য খাতেও সবুজ কারখানার সম্প্রসারণ প্রয়োজন। এ জন্য সবুজ আনয়নে বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে হবে। কেন না এই কাজে দীর্ঘমেয়াদি নীতি সহায়তা প্রয়োজন।

শুক্রবার গাজীপুরের এক্সক্লুসিভ ক্যান লিমিটেডের গ্রিন কারখানায় ‘টেকসই ব্যবসায় উন্নয়নে সবুজ কারখানার ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

দৈনিক বণিক বার্তার উপ-নগর সম্পাদক সাহানোয়ার সাইদ শাহীনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন এক্সক্লুসিভ ক্যান ও কিউ পেইল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসির। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা স্কুল অব ইকোনোমিক্সের উদ‍্যোক্তা অর্থনীতি বিভাগের ফ‍্যাকাল্টি মোহাম্মদ আমান উল্লাহ আমান। এতে বিভিন্ন গণমাধ্যমের ২০ জন সাংবাদিক অংশ নেন।

সৈয়দ নাসির বলেন, টেকসই উন্নয়ন করতে গেলে সবুজ শিল্পায়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শুধু ব্যাবসায়িক দিক দেখলেই হবে না। পরিবেশের কথাও ভাবতে হবে। তিনি ব্যাকওয়ার্ড শিল্পে শুল্ক কমানোর বিষয়ে বলেন, বিভিন্ন কোম্পানিতে পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য একসময় কর ছিল শূন্য। এখন সেটি ৭ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে এই ব্যাকওয়ার্ড শিল্পগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কেননা, মূল কোম্পানিগুলো এখন নিজেরাই সেসব পণ্য উৎপাদন করতে পারে।

সবুজ কারখানা কতটা প্রয়োজন তা তুলে ধরে ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিকসের শিক্ষক আমানুল্লাহ আমান বলেন, দিন যত যাচ্ছে ততই বেঁচে থাকার জন্য পরিবেশ চ্যালেঞ্জিং হচ্ছে। আমাদের কারণেই সেটি হচ্ছে। তাই আমাদের পরিবেশ আমাদেরই রক্ষা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, একজন উদ্যোক্তা শিল্পকারখানা করছেন। কিন্তু এটাতে মানুষ কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তা ভাবছেন না। যারা সেখানে কাজ করবেন, তাদের কাজের সুন্দর পরিবেশের কথাও ভাবছেন না। অপরিকল্পিত শিল্পকারখানা গড়ে তোলার ফলে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে, যার ফলে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। যা মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। জীবনকে করে তুলছে অতীষ্ঠ। তাই নিজেদের বাঁচাতে, পরিবেশকে বাঁচাতে সবুজ কারখানা করার আহ্বান জানান। সবুজ কারখানায় পরিবেশকে রক্ষা করতে পারে।

কর্মশালায় বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিজনেস এডিটর মানিক মুনতাসির বলেন, সারাবিশ্বই সবুজায়ন বা সবুজ বিজনেসের দিকে ঝুঁকছে। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে এখানে প্রতিবন্ধকতা বেশি। ২০১১ সালে গ্রিন ব্যাংকিং নীতিমালা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। বর্তমানে প্রায় সবগুলো ব্যাংক গ্রিন ব্যাংকিং উইনডো ওপেন করেছে। নিজেরাও নিজেদের শাখাগুলোকে সবুজায়ন করছে। ৫ শতাধিক শাখা সোলার বিদ্যুতের আওতায় এসেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here