বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের শুল্ক কমানোর বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
এছাড়া শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি এবং ক্রমবর্ধমান উৎপাদন খরচ বিবেচনায় তৈরি পোশাকের উচ্চ ও ন্যায্যমূল্য প্রদানের জন্য তিনি মার্কিন ক্রেতাদের প্রতিও অনুরোধ জানান। শনিবার ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানায়।
ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস ও মার্কিন সরকারের উদ্যোগে ‘রানা প্লাজা পরবর্তী সাত বছর : কে কী করছে?’ শিরোনামে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বাংলাদেশ সরকার এবং বিজিএমইএ’র গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।
করোনা মহামারির কারণে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে উদ্ভূত নতুন চ্যালেঞ্জ এবং বিজিএমইএ কীভাবে কঠিন সময়ে শ্রমিকদের সহযোগিতা করেছে সেসব তিনি উল্লেখ করেন।
এছাড়া ইনসেনটিভ প্যাকেজের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের উদার অবদানের কথাও তিনি স্বীকার করেন। তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের খরচ কমানোর জন্য কারখানার একাধিক নিরীক্ষা কমানোর জন্য মার্কিন ক্রেতাদের প্রতিও তিনি আহ্বান জানান।
বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম, মার্কিন সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ক্রিস্টোফার উইলসন, টেক্সটাইলবিষয়ক সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি উইলিয়াম জ্যাকসন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার পরিচালক জেনিফার লারসন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ডেমোক্রেসি, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড লেবারের পরিচালক মরিন হ্যাগার্ডসহ দেশটির বিভিন্ন দপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা অংশ নেন।
এছাড়া ম্যাকলার্টি অ্যাসোসিয়েটসের প্রতিনিধি টেরেসিতা শ্যাফার, বিজিএমইএর ভাইস প্রেসিডেন্ট মিরান আলী, ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের প্রতিনিধি, আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের (এএএফএ) প্রতিনিধি এবং ওয়ালমার্ট ও টার্গেটের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি বাংলাদেশ দূতাবাসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও অংশ নেন।
ক্রিস্টোফার উইলসন বলেন, দেশ ও বিদেশে শ্রমিকদের কল্যাণে বর্তমান মার্কিন প্রশাসন কাজ করছে। ট্যারিফ ইস্যুকে মার্কিন কংগ্রেসের বিশেষ ক্ষমতা হিসাবে উল্লেখ করে তিনি শ্রম এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দুই সরকারের মধ্যে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং এর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তৈরি পোশাক শিল্পের অপরিসীম অবদানের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার শ্রমিকদের কল্যাণ ও শিল্পকে রক্ষা করার জন্য বিশেষত রানা প্লাজার ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ ও উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
