Home বাংলা নিউজ পোশাক শিল্প ঘুরে দাঁড়াতে সহযোগিতা প্রয়োজন

পোশাক শিল্প ঘুরে দাঁড়াতে সহযোগিতা প্রয়োজন

বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেছেন, মহামারি করোনার ধাক্কা কাটিয়ে তৈরি পোশাক শিল্প ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। তবে এ জন্য সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রয়োজন। বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট সেবাকে অত্যাবশ্যকীয় ও জরুরি সেবা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, বন্দর কাস্টমস পরিবহন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের ধর্মঘটের মাধ্যমে আমদানি রফতানি কার্যক্রম ব্যাহত করার অপচেষ্টা বন্ধ করা প্রয়োজন। গতকাল শনিবার নগরীর খুলশীর বিজিএমইএ ভবনের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি নাসিরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, মঈনুদ্দিন আহমেদ মিন্টু, সাহাবুদ্দিন আহমেদ, এসএম আবু তৈয়ব, সহ-সভাপতি রকিবুল আলম চৌধুরী, পরিচালক এমএ সালাম, এম আহসানুল হক, এ এম শফিউল করিম খোকন, তানভীর হাবিব, মেরাজ ই মোস্তফা কায়সার, মো. হাসান জেকি প্রমুখ। সৈয়দ নজরুল বলেন, ব্রান্ডিং ছাড়া পোশাক শিল্পকে টিকিয়ে রাখা যাবে না। শ্রমঘন শিল্প হওয়ায় আমরা ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছি। বিদেশ থেকে প্রচুর অর্ডার পাচ্ছি। এখন পোশাক রফতানি বাড়ছে জানিয়ে তিনি বলেন, গেল আগস্ট মাসে রফতানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ শতাংশ। এ খাতে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এর পুটো কাজে লাগাতে হবে। এ জন্য বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে দ্রুত পতেঙ্গা টার্মিনাল চালু, বে-টার্মিনাল এবং মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। পোশাক শিল্পের জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিস নিশ্চিত করারও দাবি জানান তিনি। চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর ও আনোয়ারা ইকোনমিক জোনে পোশাক শিল্পের কারখানা স্থাপনে স্বল্পমূল্যে ভূমি বরাদ্দ, সহজ ও স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণ, চট্টগ্রামে কিছু ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় স্থাপন, চট্টগ্রামস্থ আমদানি রফতানি নিয়ন্ত্রকের দফতর, বস্ত্র অধিদফতর, ইপিবি, বিনিয়োগ বোর্ড, জয়েন্ট স্টক কোম্পানিকে সমস্যা সমাধানে সিদ্ধান্ত গ্রহণে ক্ষমতায়ন, শাহ আমানত বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক কানেকটিভিটি বৃদ্ধির আহবান জানান সৈয়দ নজরুল। লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত ৪ হাজার ৭০০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দুই হাজার ৭৩৪টি বন্ধ হয়ে গেছে। বাকি এক হাজার ৯৬৬ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এক হাজার ৬০০টি আমদানি-রফতানি কাজে নিয়োজিত আছে। চট্টগ্রামে ৬৭৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বন্ধ ৩৯৮টি, আমদানি রফতানি কাজে নিয়োজিত আছে ১৯০টি। করোনা পরিস্থিতিতে গত মার্চ থেকে আগস্টের মধ্যে ঢাকায় ২৮১টি ও চট্টগ্রামের ৩০টি পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। এক দশক আগেও তৈরি পোশাক রফতানিতে চট্টগ্রামে ৪০ শতাংশ অংশগ্রহণ থাকলেও গ্যাস, বিদ্যুৎ সংকট অবকাঠামোগত বিভিন্ন সমস্যার কারণে ১৪ শতাংশে নেমে এসেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here