বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত গতিতে তার ছন্দে ফিরে আসছে। বিশ্বমোড়লরা সহজে করোনার টিকাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে পারেনি বলে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া আরও গতি অর্জন করে উঠতে পারেনি। এ সত্ত্বেও বাংলাদেশের মাথাপিছু আয়ের প্রবৃদ্ধি গত দু’বছরে এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল। এর গতি এখন আরও বাড়ছে। মূলত গতিময় আধুনিক কৃষি, প্রবাসী আয় এবং রপ্তানির ঘাড়ে ভর করেই বাংলাদেশের অর্থনীতি এ শক্তিমত্ততা দেখাচ্ছে। গতকাল বেসরকারি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি) আয়োজিত ‘কভিড পরবর্তী কৃষির ভূমিকা’ বিষয়ে এক আন্তর্জাতিক সম্মেলন উদ্বোধন করার সময় প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, গত পাঁচ বছর ধরেই মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির বিচারে এশিয়ার সবচেয়ে গতিময় দেশের নাম বাংলাদেশ। করোনাকালেও বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বেড়েছে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ হারে। চীনে তা বেড়েছে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ, ভারতে বেড়েছে ৩ দশমিক ১ শতাংশ, ভিয়েতনামে ৪ শতাংশ। কৃষির অসামান্য সমর্থন ছাড়াও রপ্তানি ও প্রবাসী আয় ধারাবাহিকভাবে বাড়ার কারণে প্রচুর টাকা যাচ্ছে গ্রামে।
তাই গ্রামের অর্থনীতিতে ভোগ বেড়ে চলেছে দুর্বার গতিতে। গ্রামে কৃষির মজুরিও বাড়ন্ত।
আতিউর রহমান বলেন, চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের বেশি হবে বলে ড. রহমান তার প্রক্ষেপণ জানিয়ে বলেন, ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ যাতে আরও বাড়ে, সেদিকে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বাড়তি নীতিবিষয়ক মনোযোগ দিতে হবে। এক কোটি ৩০ লাখ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজের যে সমর্থন প্রধানমন্ত্রী দিয়েছিলেন, তার ইতিবাচক প্রভাব বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পড়েছে। তবে সামাজিক পাটাতনের নিচের দিকের মানুষকে সরকার সামাজিক সুরক্ষা দিলেও এদিকে আরও সমর্থন প্রয়োজন। নতুন করে প্রণোদনার রোডম্যাপ গ্রহণ করার প্রয়োজন রয়েছে।