করোনা ভাইরাসের ধাক্কা সামলিয়ে দেশের তৈরি পোশাক খাতে আগের চেয়ে ক্রয়াদেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসের তুলনায় চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বিশ্ববাজারে রপ্তানি শতকরা ৪১ দশমিক ৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যার পরিমাণ ১০০ কোটি মার্কিন ডলার। দেশীয় টাকায় যার মূল্য ৮ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
সোমবার (০৪ অক্টোবর) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে এ তথ্য জানায়।ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, এবছরের সেপ্টেম্বর মাসে বিশ্ববাজারে দেশীয় তৈরি পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ৩ হাজার ৪১৮ কোটি ৮৪ লাখ ইউএস ডলার যা ২০২০ সালের এসময়ে ছিল ২ হাজার ৪১৩ কোটি ৪২ লাখ ইউএস ডলার। শুধু গত বছরের সেপ্টেম্বরের চেয়ে বেশি নয়, চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসের তুলনায় তৈরি পোশাক রপ্তানিতে সর্বোচ্চ আয় হয়েছে। এবছরের গত জুন, জুলাই ও আগস্টে যথাক্রমে পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৮৯৪ কোটি ৮৮ লাখ ইউএস ডলার, ২ হাজার ৮৮৭ কোটি ২২ লাখ ইউএস ডলার এবং ২ হাজার ৭৫৩ কোটি ৫৬ লাখ ইউএস ডলার। ইপিবির সূত্র মতে, সেপ্টেম্বর মাসে ওভেন ও নিটওয়্যার খাতের পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৩ হাজার ৪১৮ কোটি ৮৪ লাখ ইউএস ডলার। এর মধ্যে ওভেন খাতের পোশাক রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ১ হাজার ৫১৩ কোটি ৫৫ লাখ ইউএস ডলার। আর নিটওয়্যার খাতের রপ্তানি আয় হয়েছে ১ হাজার ৯০৫ কোটি ২৫ লাখ ইউএস ডলার। ২০২০ সালে সেপ্টেম্বর মাসে ওভেন খাত থেকে রপ্তানি আয় হয়েছিল ১ হাজার ৬৪ কোটি ৫৪ লাখ ইউএস ডলার। আর নিটওয়্যার খাত থেকে আয়ের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৩৪৮ কোটি ৮৮ লাখ ইউএস ডলার। এ সম্পর্কে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ (বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি) সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, গত দেড় বছর করোনার মহামারির কারণে আমরা অনেকটাই অবরুদ্ধ ছিলাম। করোনার ধাক্কা আমরা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, আমাদের কারখানাগুলোতে প্রচুর পরিমাণ অর্ডার আসছে এবং পোশাকের দামও বাড়ছে। করোনার মধ্যে কারখানা খোলা রেখে আমরা কেবল ব্যবসা ধরে রেখেছি। এখন তার ফলাফল পাচ্ছি। পশ্চিমা ক্রেতাদের সঙ্গে তাদের বৈঠক হয়েছে বলে তিনি জানান । তিনি আরও বলেন, পোশাকের আরও বেশি দাম পাওয়ার নিশ্চয়তা পাওয়া গেছে। এছাড়াও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে ‘জিএসপি প্লাস’ সুবিধা পাওয়ার পথও সুগম হয়েছে। ফলে আশা করছি, সামনের দিনগুলোতে রপ্তানি আয় আরও বৃদ্ধি পাবে।
