যুদ্ধ-বিধ্বস্ত এবং সম্পদ স্বল্পতার বাংলাদেশকে ১৯৭১ সালে জন্মের সময় তলাবিহীন ঝুড়ি বলা হয়েছিল। কিন্তু গত কয়েক দশকের স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে প্রশংসিত হচ্ছে।
খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ, লেখক এবং ভারতের সাবেক প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রামানিয়ান বলেছেন, ‘কয়েক দশক ধরে এই দেশ (বাংলাদেশ) ছিল অবজ্ঞার পাত্র…কিন্তু এখন আর নয়। এটি এখন উন্নয়নের একটি উজ্জ্বল মডেল। দেশটির যেভাবে জন্ম হয়েছে, এর কাছ থেকে দেশগুলোর অনেক কিছু শেখার আছে।’
জিডিপি, মাথাপিছু আয়, রপ্তানি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভসহ অর্থনীতির প্রায় সব ধরনের সূচকেই নিজেদের অবস্থার উন্নতির পাশাপাশি বাংলাদেশ এখন অ্যাপারেল রপ্তানিতে বিশ্বের দ্বিতীয়।
২০১৫ সালে নিম্ন আয়ের দেশ থেকে বাংলাদেশ নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে এবং ২০২৬ সাল থেকে বাংলাদেশের নাম থাকবে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায়।
আগামী ৫ বছর মাথাপিছু জিডিপিতে ভারতের চেয়ে এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ।
বেশ কিছু সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ এখন ভারতের চেয়ে এগিয়ে।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকে ঋণ দিয়েছে এবং সোমালিয়াকে দেওয়া ঋণ মওকুফ করে দিয়েছে।
২০১০ সালে বাংলাদেশ প্রায় সব ধরনের অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছে।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশে শক্তিশালী ওষুধ তৈরি শিল্প গড়ে উঠেছে এবং এ খাতে আমাদের আমদানি-নির্ভরতা তো কমেছেই, আমরা রপ্তানিকারক হয়ে উঠেছি।