আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আন্তোয়েনেট মনসিও সায়েহের বাংলাদেশ সফরের সময় সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলারের ঋণ নিয়ে আর কোনো আলোচনা হবে না।
ওয়াশিংটনভিত্তিক এই বহুপাক্ষিক ঋণদাতা সংস্থার মুখপাত্র গতকাল বুধবার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, ‘আমরা জোর দিয়ে বলতে চাই, ঋণ নিয়ে আলোচনা করা এই সফরের উদ্দেশ্য নয়।’
৪ দিনের সফরে আগামী রোববার বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে আন্তোয়েনেট মনসিও সায়েহের। এ ছাড়া, তিনি ভারত, ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ড সফর করবেন।
আইএমএফ মুখপাত্র বলেন, ‘এশিয়ার সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে আইএমএফের দৃঢ় সম্পর্কে গুরুত্বারোপ করতেই তার সফর।’
সায়েহের সফরসূচি অনুযায়ী, তিনি কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি সম্পর্কে ধারণা পেতে চান, বাংলাদেশ এখন কোন অবস্থানে আছে এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা কী, তা জানতে চান। বাংলাদেশের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদনের সময় আইএমএফের নির্বাহী বোর্ডের কাছে এ বিষয়ে আলোচনা করতে নিজের প্রস্তুতির জন্য তিনি এই সফর করছেন।
এই সফরে তিনি ২০২২ সালে উদ্বোধন হওয়া পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেল পরিদর্শন করবেন।
এ ছাড়া, তিনি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক প্রস্তুতকারক এই দেশের পোশাকখাতের গতিশীলতা প্রত্যক্ষ করতে একটি শিল্প ইউনিট পরিদর্শন করবেন।
লাইবেরিয়ার সাবেক অর্থমন্ত্রী সায়েহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করবেন এবং সেখানে একটি অধিবেশনে যোগ দেবেন।
আগামী ১৮ জানুয়ারি তার এই সফর শেষ হবে। এই সফরে তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ এবং আইএমএফ বাংলাদেশকে কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, অর্থমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
এ ছাড়া, তিনি নারী নেত্রী ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও কথা বলবেন।
এই সফরে তার অভিজ্ঞতা আইএমএফের নির্বাহী বোর্ডের সামনে বাংলাদেশকে সঠিকভাবে উপস্থাপনের জন্য পূর্ণাঙ্গ ধারণা দেবে।
কয়েক বছর ধরে আটকে থাকা কিছু মূল কাঠামোগত সংস্কারসহ প্রায় ৩০টি শর্তে আইএমএফের কাছ থেকে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণের বিষয়ে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ।
যদি আইএমএফ বোর্ড ঋণ অনুমোদন করে, তাহলে আগামী ফেব্রুয়ারিতে ৪৪৭ দশমিক ৮ মিলিয়ন ডলারের প্রথম কিস্তি পাবে বাংলাদেশ। ঋণ প্রস্তাবে নির্ধারিত সময়সীমার সংস্কার সাপেক্ষে ৬৫৯ দশমিক ১৮ মিলিয়ন ডলারের ৬টি সমান কিস্তিতে ঋণের বাকি অর্থ আসবে।