ঢাকায় তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের চার দিনব্যাপী এক আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। এতে স্বাগতিক বাংলাদেশ, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, ব্রাজিল, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, হংকং, ইতালি, জাপান, কোরিয়া, মালয়েশিয়া, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ডসহ ৩৫টি দেশের ১ হাজার ২০০ প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। তবে সব মিলিয়ে প্রদর্শনীর ১৯টি হলে বুথ রয়েছে ১ হাজার ৬০০টি।
এই প্রদর্শনীর পোশাকি নাম—ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল টেক্সটাইল অ্যান্ড গার্মেন্টস মেশিনারি এক্সিবিশন বা ডিটিজি। এটি ১৭তম ডিটিজি। এর আয়োজক বস্ত্রকলমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) ও হংকংয়ের ইয়োর্কাস ট্রেড অ্যান্ড মার্কেটিং সার্ভিসেস কোম্পানি। করোনার কারণে গত তিন বছর প্রদর্শনীটি অনুষ্ঠিত হয়নি।

গতকাল বুধবার রাজধানীর পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়েসংলগ্ন ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, বিটিএমএর সহসভাপতি ফজলুল হক, আবদুল্লাহ আল মামুন ও ইয়োর্কাস ট্রেড অ্যান্ড মার্কেটিং সার্ভিসেসের প্রেসিডেন্ট জুডি ওয়াং।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালমান এফ রহমান বলেন, বিশ্বজুড়ে যে পরিমাণ পোশাক রপ্তানি হয়, তার ৭০ শতাংশ কৃত্রিম তন্তুর তৈরি। অথচ বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া পোশাকের অধিকাংশই তুলানির্ভর কাপড়ে তৈরি। ফলে কৃত্রিম তন্তুর পোশাক তৈরিতে বড় বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশে। তিনি আরও বলেন, কৃত্রিম তন্তুর আমদানি পর্যায়ে শুল্কসহ যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, সেগুলো দ্রুত তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, সরকারের বিভিন্ন মেয়াদি উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে পণ্য রপ্তানি বাড়ানো প্রয়োজন। এ জন্য শক্তিশালী সংযোগশিল্প হিসেবে বস্ত্র খাতকে গড়ে তুলতে হবে। যদিও এই খাতের সম্ভাবনার অনুপাতে বিনিয়োগ কম।