পোশাক শিল্পের বর্জ্যের পুনর্ব্যবহারযোগ্য ব্যবসার ওপর থেকে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) প্রত্যাহার করার সুপারিশ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বর্তমানে এই খাত থেকে ২২.৫% ভ্যাট নিচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এতে খাতের প্রবৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এনবিআরকে দেওয়া চিঠিতে, আরএমজি বর্জ্য পুনর্ব্যবহারকারীদের আমদানি প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে সহায়তা করার জন্য ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানানো হয়।
মূলত স্পিনিং মিলে ব্যবহারের জন্য স্থানীয় পুনর্ব্যবহারকারীরা পোশাক কারখানা এবং টেক্সটাইল মিল থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে থাকে।
বর্তমানে, তাদের পণ্য সংগ্রহের পর্যায়ে ৭.৫% এবং সরবরাহ পর্যায়ে ১৫% ভ্যাট দিতে হয়।
জানুয়ারিতে মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনসহ (বিটিএমএ) রিসাইক্লিং বিভাগের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠকের পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অনুরোধটি এনবিআরের কাছে পাঠায়।
বৈঠকে বলা হয়, রিসাইকেল করা সুতা ভ্যাট ও উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির কারণে এ খাতের প্রবৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ফলে আমদানি করা সুতার সঙ্গে পাল্লা দিতে পারছে না স্থানীয় রিসাইক্লিং মিলগুলো।
বৈঠকে বিটিএমএ ব্যাখ্যা করে জানায়, পুনর্ব্যবহারকারী মিলগুলোর ব্যবহার করা কাঁচামাল স্থানীয় টেক্সটাইল এবং পোশাক শিল্প থেকে সংগ্রহ করা বর্জ্য, সুতা ও কাপড়ে পুনর্ব্যবহার করা হয়। পরে তা রপ্তানির জন্য গার্মেন্টস পণ্য হিসেবে পুনরায় রূপান্তর করা হয়।