টেকসই প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে পোশাক শিল্প কাজ করছে। কিন্তু এ জন্য ব্যবসায়িক অনুশীলন, সর্বশেষ প্রযুক্তি ও বৈশি^ক ফ্যাশন শিল্পের ট্রেন্ড এবং এই খাতের সাম্প্রতিক ঘটনা ও উন্নয়ন সম্পর্কে জ্ঞানের প্রয়োজন হবে বলে মনে করেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
উত্তরাস্থ বিজিএমইএর নিজস্ব কার্যালয়ে পোশাক খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পুস্তক ও জার্নাল সমৃদ্ধ আধুনিক লাইব্রেরি স্থাপনকালে তিনি এ কথা বলেন। বিজিএমইএর তথ্য, গবেষণা এবং শিক্ষার চাহিদা মেটানো, একইসাথে পোশাক শিল্পের টেকসই উন্নয়নের পথে অগ্রযাত্রাকে তরান্বিত করতে এটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, এই লাইব্রেরি বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের জন্য টেকসই এবং উন্নত ভবিষ্যত নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। জ্ঞানভান্ডার হিসেবে এটি শিল্প পেশাজীবি, গবেষক, ডিজাইনার এবং উৎপাদনকারীদের শিল্পের সর্বশেষ প্রবণতা ও চর্চা বিষয়ে অবহিত হতে সহায়তা করবে।
অত্যাধুনিক এই লাইব্রেরিতে পোশাক শিল্প সম্পর্কিত বই, জার্নাল এবং অন্যান্য সম্পদের বিশাল সংগ্রহ রয়েছে। এতে পোশাক শিল্প সংক্রান্ত মুদ্রিত গ্রন্থ, দলিলপত্রাদি, পান্ডুলিপি, চিত্রকর্ম, সমসাময়িক ও প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন বিষয় সংক্রান্ত বই, প্রকাশনা, সাময়িকী, গুরুত্বপূর্ন পুরনো সংবাদপত্র, মাইক্রোফিল্ম, অডিও-ভিজ্যুয়াল, পোশাক শিল্পের পথিকৃতদের নিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন, দেশ-বিদেশের শিল্প ও সাহিত্যকর্ম থাকবে। গ্রন্থাগারটি জ্ঞান ও গবেষণার একটি কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে, যা বৈশ্বিক পোশাক শিল্পের সর্বশেষ প্রবণতা এবং প্রযুত্তির সাথে তাল মিলিয়ে পোশাক শিল্পের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
লাইব্রেরিটি বিজিএমইএর সাবেক সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. মাযহারুল ইসলামের নামে করা হয়, যিনি একাধারে শিক্ষাবিদ, লেখক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, বাংলা একাডেমির প্রথম মহাপরিচালক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, পোশাক শিল্পের পথিকৃৎ ও স্প্যারো অ্যাপারেলস লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ন অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ২০২৩ সালে একুশে পদকপ্রাপ্ত হন।
ড. মযহারুল ইসলাম ১৯৮৫ সালে স্প্যারো অ্যাপারেলস লিমিটেড নামক পোশাক শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠা করে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বিজিএমইএ বোর্ডে ১৯৮৫-৮৭ মেয়াদে সহ-সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন এবং পোশাক শিল্পের উন্নয়নে অনবদ্য অবদান রাখেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সহ-সভাপতি (অর্থ) খন্দকার রফিকুল ইসলাম; সহ-সভাপতি মোঃ নাসির উদ্দিন; পরিচালক নীলা হোসনে আরা; বিজিএমইএ স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রেস, পাবলিকেশন অ্যান্ড পাবলিসিটি চেয়ারম্যান এবং ড. মাযহারুল ইসলামের ছেলে শোভন ইসলাম এবং বিজিএমইএর বিভিন্ন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান।