ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকশিল্পে সুতা বিক্রিতে নতুন করে সুরক্ষা দাবি করেছে বস্ত্রকলের মালিকেরা। তাঁরা চান, তৈরি পোশাকশিল্পে কাপড় তৈরির জন্য ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের মাধ্যমে কটন সুতা সংগ্রহের একটি অংশ দেশীয় বস্ত্রকল থেকে করার বিধান করা হোক।
বস্ত্রকলের মালিকদের সংগঠন বিটিএমএ আয়োজিত আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান সংগঠনটির সভাপতি মোহাম্মদ আলী। রাজধানীর পান্থপথে বিটিএমএ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সহসভাপতি ফজলুল হক, পরিচালক সৈয়দ নূরুল ইসলাম, আবদুল্লাহ জুবায়ের, খোরশেদ আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সুতা বিক্রিতে সুরক্ষা চাওয়ার কারণ হিসেবে মোহাম্মদ আলী বলেন, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির কারণে সুতা ও কাপড়ের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। শুল্কমুক্ত সুবিধায় বন্ডেডওয়্যার হাউসের আওতায় আমদানি করা সুতা, কাপড় ও পোশাকের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারছে না। ফলে সুতার মজুত বেড়ে যাওয়ায় বস্ত্রকলগুলোর আর্থিক অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে অসম প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে কয়েকটি মিল বন্ধ হয়ে গেছে। আরও মিল বন্ধ হওয়ার পথে।
সংবাদ সম্মেলনে বিটিএমএ সভাপতি বন্ডেড সুবিধায় আমদানি করা সুতা, কাপড় ও পোশাকের অবৈধ বিক্রি বন্ধে বাবুরহাট, নরসিংদী, ইসলামপুরসহ বিভিন্ন পাইকারি বাজারে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা, রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) সুবিধা অব্যাহত রাখা, নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত এবং ব্যাংকঋণের কিস্তি ও সুদ আগামী বছরের জুন পর্যন্ত ব্লক হিসাবে রাখার পাশাপাশি পরবর্তী সময়ে সহজ কিস্তিতে পরিশোধের সুবিধা দাবি করেন।