বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে নতুন মজুরি বৃদ্ধির বিষয়টি তুলে ধরে পোশাকের দর বাড়াতে ভূমিকা নিতে প্রতিনিধি দলকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে চলমান শ্রম অসন্তোষ এবং ন্যূনতম মজুরি বিষয়ে পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) নেতাদের কাছে জানতে চেয়েছে ঢাকা সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল।
মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ অফিসে এক বৈঠকে তারা এ বিষয়ে জানতে চায় বলে বৈঠক সূত্র জানিয়েছে।
সভায় উপস্থিত বিজিএমইএ’র পরিচালক ফয়সাল সামাদ বলেন, “আমরা তাদেরকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছি। আমরা বলেছি, বাহিরাগতরা এসে জড়িয়েছে, যার কারণে এটি বেড়েছে।”
“এ বিষয়ে চাইলে ভিডিও ফুটেজও আমরা তাদের পাঠাতে পারি বলে জানিয়েছি,” বলেন তিনি।
এছাড়া তারা আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) রোডম্যাপ অনুযায়ী অগ্রগতির বিষয়েও বিজিএমইএ’র কাছে জানতে চায়।
“বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে এ খাতের অগ্রগতি তুলে ধরা হয়েছে। বিশেষত রানা প্লাজা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের পোশাক খাতের অগ্রগতি তুলে ধরা হয়েছে”, জানান ফয়সাল।
সভায় বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে নতুন মজুরি বৃদ্ধির বিষয়টি তুলে ধরে পোশাকের দর বাড়াতে ভূমিকা নিতে প্রতিনিধি দলকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ফয়সাল সামাদ বলেন, “আমরা পোশাকের দর বাড়াতে তাদের সহযোগিতা চেয়েছে। জবাবে তারা বলেছে, ইতিমধ্যে তারা ব্র্যান্ডগুলোর নজরে ইস্যুটি এনেছে।”
গত ১২ নভেম্বর ইউরোপিয়ান এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের (ইইএএস) এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক পাওলা পাম্পালোনির নেতৃত্বে তিন সদস্যের ইইউ প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসেন; তাদের এ সফর আগামীকাল ১৬ নভেম্বর শেষ হবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে বলেন, শ্রম খাতের জন্য জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ‘অগ্রগতি পর্যালোচনা’ করার লক্ষ্যে এই সফর।
বাংলাদেশ শ্রম খাতে একটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (২০২১-২০২৬) গ্রহণ করেছে এবং এই পরিকল্পনাটি আইএলও গভর্নিং বডির কাছে বাংলাদেশ সরকারের জমা দেওয়া রোডম্যাপের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত।
রোডম্যাপের লক্ষ্য হলো সংগঠনের স্বাধীনতা এবং সম্মিলিত দরকষাকষির অধিকার সহ দেশের শ্রম অধিকারগুলো পালনের উন্নতি করা।