শতরঞ্জি দিয়ে শুরু হলেও এখন কারুপণ্যের কারখানায় তৈরি হচ্ছে নানা রকমের হস্তশিল্প পণ্য।
১৯৯১ সালে ‘কারুপণ্য’ নামে যাত্রা শুরু করে রংপুরের ঐতিহ্যবাহী শতরঞ্জি তৈরির ছোট্ট একটি প্রতিষ্ঠান। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এক সময়ের ‘হারিয়ে যাওয়া’ শতরঞ্জি এখন ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির হাত ধরে।
এ শতরঞ্জি তৈরির কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হয় প্রাকৃতিক ও নবায়নকৃত বিভিন্ন কাঁচামাল। এর মধ্যে রয়েছে স্পিনিং মিলের তুলার বর্জ্য থেকে তৈরি সুতা, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির ঝুট কাপড়, পাটের আঁশ, কাশ-খড়, হোগলাপাতা, ধানের খড়, কচুরিপানা, কলাগাছের বাকল, ভুট্টার খোসা, নারকেলের ছোবড়া ইত্যাদি।
বর্জ্য থেকে পণ্য প্রস্তুত করার ফলে দূষণের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে পরিবেশ ও প্রকৃতি।
মাত্র ৫০ জন কর্মী নিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল কারুপণ্যের। এখন এটি পরিণত হয়েছে বিশাল কারখানায়। রংপুর শহরের রবার্টসনগঞ্জে রয়েছে কারুপণ্যের মূল কারখানা।
এছাড়া রয়েছে ছোট–বড় আরও বেশ কয়েকটি কারখানা। এ দীর্ঘ পথ চলায় প্রতিষ্ঠানটি এখন প্রায় আট হাজার জনবলের বিশাল শক্তিতে পরিণত হয়েছে। আর এ কর্মীবাহিনীর ৯০ শতাংশই নারী।
শতরঞ্জি দিয়ে শুরু হলেও এখন কারুপণ্যের কারখানায় তৈরি হচ্ছে নানা রকমের হস্তশিল্প পণ্য।
লেখা ও ছবি: সৈয়দ জাকির হোসেন