বাংলাদেশ ২০২৬-২৭ অর্থবছরে রপ্তানি থেকে ১১০ বিলিয়ন ডলার আয় করতে চায়। যা গত অর্থবছরে রেকর্ড করা আয়ের দ্বিগুণ।
সম্প্রতি রপ্তানি নীতিমালা ২০২৪-২৭-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। সেখানেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মাহমুদুল হোসেন খান বলেন, ‘‘এটি এখন অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় রাখা হবে।’’
২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছিল ৫৫ বিলিয়ন ডলারে।
মাহমুদুল হোসেন খান বলেন, ‘‘খসড়া নীতিতে ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নীত হওয়ার পরে বাংলাদেশ যে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে তাও তুলে ধরা হয়।’’
তিনি বলেন, ‘‘সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাওয়া খাতের সম্ভাবনাময় নতুন কিছু পণ্য ও সেবা যেমন- সবজি এবং হস্ত ও কারু পণ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিশেষ উন্নয়নমূলক খাতে স্পিনিং, ফেব্রিক্স, ম্যানুফ্যাকচারিং, ডাইং, প্রিন্টিং অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ওষুধশিল্প ও মেডিকেল ইকুইপমেন্ট অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বর্ষ পণ্য হস্তশিল্পকে নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’’
সচিব বলেন, ‘‘রপ্তানি নিষিদ্ধ পণ্য তালিকা এবং শর্তসাপেক্ষে রপ্তানি পণ্য তালিকা হালনাগাদ ও এইচএস কোডের হেডিংসহ উল্লেখ করা হয়েছে। রপ্তানি-সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন কমিটি ও রপ্তানি-সংক্রান্ত কারিগরি কমিটি গঠন ও কার্যপরিধি সন্নিবেশিত করা হয়েছে।’’
অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, রপ্তানি খাতের চাহিদা এবং বিশ্ববাণিজ্য পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপটের সঙ্গে সামঞ্জস্য নীতি প্রণয়নের লক্ষ্যে প্রতি তিন বছর অন্তর রপ্তানি নীতি প্রণয়ন করা হয়। বিদ্যমান রপ্তানি নীতি ২০২১-২০২৪-এর মেয়াদ আগামী ৩০ জুন শেষ হবে। এই ধারাবাহিকতায় রপ্তানি নীতি ২০২৪-২৭ এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরকারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ৬২ বিলিয়ন ডলার।
রপ্তানিকারকরা অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল মাসে ৪৭.৪৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য পাঠিয়েছেন।