২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে শ্রমিকদের জন্য রেশন বরাদ্দ বৃদ্ধিসহ আট দফা দাবিতে সংসদ অভিমুখে পদযাত্রা করেছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন। সংগঠনটি বলেছে, শ্রমিকদের রেশনিংয়ের জন্য বাজেটের ১০ শতাংশ বরাদ্দ রাখতে হবে।
আজ বুধবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শ্রমিক সমাবেশ শেষে এ পদযাত্রা করে সংগঠনটি। এ সময় সংসদের স্পিকার বরাবর একটি স্মারকলিপিও দিয়েছে তারা।
পদযাত্রার আগে শ্রমিক সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান ইসমাইল। তিনি বলেন, জাতীয় বাজেট, শিল্প, কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, প্রতিরক্ষা প্রভৃতি খাতে আলাদা বরাদ্দ থাকলেও শ্রমিকদের জন্য এমন কোনো পৃথক বরাদ্দ নেই। মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রায় ছয় কোটি শ্রমিকের অবদান সবচেয়ে বেশি। অথচ এই শ্রমিকদের জন্য কোনো রেশনিং ব্যবস্থা নেই। শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, চিকিৎসা ও সন্তানের লেখাপড়ার ভালো সুযোগ নেই। বাস্তবে শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ বলতেই কিছু নেই।
মাহবুবুর রহমান জানান, ৫২ বছরে বাজেটের আকার ৯৬৭ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকা হয়েছে। তবে সরকারের উন্নয়ন আর জিডিপি বৃদ্ধির ঘটনায় শ্রমজীবী মানুষের ভাগ্যের কোনো উন্নতি হয়নি। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে নিম্ন আয়ের দেশ থেকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। সে কারণে শ্রমিকদের জীবনমান দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকতে পারে না।
সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন শ্রমিক নেতা সালাউদ্দিন স্বপন, শহিদুল ইসলাম, লাভলী ইয়াসমিন, শবনম হাফিজ, সুলতানা আক্তার, কে এম মিন্টু, রাজু আহমেদ, এফ এম আবু সাঈদ, হারুন সরকার, আবদুল করিম শেখ। আরও বক্তব্য দেন ঢাকা রাইড শেয়ারিং শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সজীব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক হালিম তালুকদার, কেন্দ্রীয় নেতা কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, টাকার অঙ্কে শ্রমিকের মজুরি বাড়লেও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে শ্রমিকেরা আজ অভাব-অনটনে দিন যাপন করছেন। রেশনিং ব্যবস্থা চালু থাকলে সিন্ডিকেট কালোবাজারি ব্যবসায়ীরা দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে শ্রমিকদের পকেট থেকে অর্থ লুটে নিতে পারতেন না।
News sources :prothomalo