অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর নেতারা। তাঁরা প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, তিনি (ড. মুহাম্মদ ইউনূস) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেওয়ায় পোশাকশিল্পে একটা ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে বৈশ্বিক ক্রেতাদের মধ্যে বাংলাদেশ সম্পর্কে আস্থা তৈরি হয়েছে।
বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে সংগঠনের একটি প্রতিনিধিদল আজ বুধবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রতিনিধিদলে ছিলেন বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সহসভাপতি আরশাদ জামাল, মো. নাসির উদ্দিন, মিরান আলী, আব্দুল্লাহ হিল রাকিব, রকিবুল আলম চৌধুরী, পরিচালক শহিদউল্লাহ আজিম, শোভন ইসলাম প্রমুখ।
বিজিএমইএ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, বিজিএমইএর সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম প্রধান উপদেষ্টাকে পোশাকশিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেন।
বিজিএমইএর প্রতিনিধিদল উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তৈরি পোশাকশিল্পের ভাবমূর্তির যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণের জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে তাঁর এক্স হ্যান্ডল (সাবেক টুইটার) থেকে বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ক্রেতাদের উদ্দেশে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি পোশাক ক্রয়ের আহ্বান জানানোর অনুরোধ করেন। তাঁরা পোশাকশিল্পের বিদ্যমান সমস্যার সমাধান, বিশেষ করে ব্যবসার প্রতিবন্ধকতা অপসারণ, ব্যবসার প্রক্রিয়া সহজীকরণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব দেন।
বিজিএমইএ প্রতিনিধিদলের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, দেশে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সব সরকারি প্রতিষ্ঠানে যেসব সংস্কার করা প্রয়োজন, তার সবই বর্তমান সরকার করবে।
প্রধান উপদেষ্টা টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাবে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেন বলে দাবি করেছে বিজিএমইএ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিজিএমইএ প্রতিনিধিদলকে আশ্বস্ত করে প্রধান উপদেষ্টা জানান, তাঁর সরকার পোশাকশিল্পকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য যা যা করা দরকার, সবই করবে। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টা তাঁর পরিচিতি ও বৈশ্বিক মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের ব্র্যান্ড ইমেজকে উন্নত করা, বিশেষ করে পোশাকশিল্পের ব্র্যান্ডিংয়ের ব্যাপারে সচেষ্ট থাকবেন বলেও আশ্বাস দেন।