পোশাক শিল্পের নিরাপত্তায় সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুরে আজ ( সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর) রাতেই যৌথ অভিযান চালাবে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও শিল্প পুলিশ। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান বিজিএমইয়ের সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম। অন্যদিকে বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের প্ররোচনায় আন্দোলন করছেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা।’
বকেয়া বেতন ও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার দাবিতে কয়েকদিন ধরেই আন্দোলন করছেন তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকরা। আন্দোলনের মুখে রোববার বন্ধ করা হয় প্রায় ৫০টি কারখানা। এদিন আশুলিয়ায় কয়েকটি কারখানা ভাঙচুর করেন বিক্ষোভকারীরা।
এছাড়া আজ (সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই গাজীপুর ও আশুলিয়ায় কর্মবিরতির পাশাপাশি বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেন বিভিন্ন কারখানা শ্রমিকরা। এসময় নিরাপত্তার ঝুঁকিতে বন্ধ হয়ে যায় সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুরের বেশিরভাগ শিল্প কারখানা। বন্ধ ছিল সড়কে যান চলাচলও।
শ্রমিকদের দাবিগুলো একেক জায়গায় একেক রকম। যদিও মালিকরা বলছেন, তাদের বেশিরভাগ দাবি অযৌক্তিক।
বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম এখন টিভিকে বলেন, ‘দেশকে অস্থিতিশীল করতেই বিদেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে।’ এ অবস্থায় রাজনৈতিক দলগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম চলমান সংকট সমাধানে তৈরি পোশাক কারখানা মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর সঙ্গে সচিবালয়ে বৈঠকে বসেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
পরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর নেতারা। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, পোশাক শিল্পের নিরাপত্তরায় সাভার, আশুলিয়া ও গাজিপুরে রাত থেকে যৌথ অভিযান।
একটা গোষ্ঠী শ্রমিকদের উস্কে দিচ্ছে জানিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘তারা আরও একদিন পর্যবেক্ষণ করবেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে কারখানা বন্ধ রাখতে বাধ্য হবে মালিকরা। এছাড়া এখন আর্মির সহযোগিতা দরকার’
এর আগে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগের মধ্যে দিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়। এরপর বিভিন্ন স্থাপনাতে হামলা, লুটের মতো ঘটনা শুরু হয় দেশে।
news Sources : ekhon