শিল্পাঞ্চলের নিরাপত্তা নিয়ে সাভারের আশুলিয়ার তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকেরা হতাশ। তাঁরা বলেছেন, আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের পর হামলার কারণে কারখানা চালানো যায়নি। অনেক কারখানার কর্মকর্তাদের মারধর করতে আসছে হামলাকারীরা। আগুন দিয়ে কারখানা পুড়িয়ে দেওয়ার অপচেষ্টাও হয়েছে কোথাও কোথাও।
তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার রাতে সংগঠনের সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এক বৈঠকে আশুলিয়ার মালিকেরা এসব কথা বলেন। বৈঠকে উপস্থিতি ছিলেন বিজিএমইএর সহসভাপতি আবদুল্লাহ হিল রাকিব।
বৈঠক শেষে জানতে চাইলে আবদুল্লাহ হিল রাকিব প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা না পেলে কারখানা বন্ধ রাখতে চান আশুলিয়ার মালিকেরা। আমরা মালিকদের বলেছি, আজকে ও কালকে আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে কথা বলি। একই সঙ্গে আমরা মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার চেষ্টাও করছি। সবার সঙ্গে কথা বলার পর আমরা সিদ্ধান্ত নেব শনিবার থেকে স্বাভাবিকভাবে কারখানা চলবে নাকি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।’
বিজিএমইএর এই সহসভাপতি বলেন, শিল্পের নিরাপত্তায় পুলিশের পর্যাপ্ত সহায়তা পাচ্ছেন না মালিকেরা। কিছু কারখানায় আগুন দেওয়ার চেষ্টা হলেও সেনাবাহিনীর সদস্যরা তা প্রতিহত করেন। অনেক বন্ধ কারখানায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এভাবে চললে কীভাবে হবে? অনেক মালিক বলেছেন, প্রয়োজনে ১০ দিন কারখানা বন্ধ থাকুক। কারণ, কারখানা পুড়িয়ে দিলে তো আর ঘুরে দাঁড়ানো যাবে না।
গতকাল বুধবার বিকেলে আশুলিয়া ও গাজীপুরের পোশাকশিল্পের মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিজিএমইএর নেতারা। বৈঠকে সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে বিজিএমইএর সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে সহায়তার আশ্বাস পাওয়ায় বৃহস্পতিবার বন্ধ সব পোশাক কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত হয়।
ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় শ্রমিক বিক্ষোভের কারণে ছুটি দেওয়া বেশির ভাগ কারখানা আজ চালু হয়েছে। সকালে কয়েকটি কারখানায় হামলা ও ভাঙচুর করেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা। এতে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। তবে দুপুরের পর অধিকাংশ কারখানা ছুটি হয়ে যায়।
বিজিএমইএর তথ্যানুযায়ী, আজ দিনের বিভিন্ন সময় সাভারের আশুলিয়ায় ১২৯ কারখানা ছুটি দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। তবে বেশির ভাগ কারখানাই ছুটি হয় দুপুরের পর।