গাজীপুর, সাভারসহ বিভিন্ন জায়গায় শ্রমিকদের অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এই অসন্তোষের কারণে অনেক কারখানা বন্ধ রাখতে হচ্ছে। তবে এরই মধ্যে কিছু কিছু কারখানা সচল হলেও উত্পাদনের মাত্রা কমে গেছে। যার ফলে অনেক কারখানার মালিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রবিবার রাজধানীর গুলশানস্থ পুলিশ প্লাজায় মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এমসিসিআই) এক সভার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে সংগঠনের মহাসচিব ফারুক আহমেদ বলেন, গত এক মাসে নারায়ণগঞ্জ, সাভার, আশুলিয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা দাবি নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে শতাধিক শিল্প-কারখানায় ভাঙচুর করা হয়। একই সঙ্গে আগুন দেওয়া হয়।এ সময়ে দুই শতাধিক কারখানার উৎপাদন ও বিপণনপ্রক্রিয়া বন্ধ ছিল।
আপাতত ধারণা করা হচ্ছে, শিল্পের প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে, তবে প্রকৃত ক্ষতির পরিমাণ আরো বেশি হতে পারে।
তিনি বলেন, কারখানায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন সংস্থার কাছে সহায়তা চাওয়া হয়েছে। আশা করছি শিগগির সরকার শ্রমিকদের আন্দোলনের বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে।আর পদক্ষেপ নিলেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।
সভায় বলা হয়, গত আগস্ট মাসে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে জুলাই-আগস্ট মাসে টানা আন্দোলনের কারণে সরবরাহ পরিস্থিতির ব্যাপক বিঘ্ন ঘটে। এর ফলে কৃষি উত্পাদন থেকে শুরম্ন করে নির্মাণ ও সেবাখাতে পরিস্থিতির অবনমন হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন এমসিসিআই পরিচালক তারেক মোহাম্মদ আলী, পলিসি এক্সচেঞ্জের সিনিয়র ব্যবস্থাপক হাসনাত আলম।