গ্যাসের নতুন মূল্যবৃদ্ধির খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের বস্ত্র ও পোশাক খাতের ব্যবসায়ীরা। তাদের মতে, উৎপাদন খরচ বাড়ছে, যা পোশাক রপ্তানির স্থবিরতা ও শিল্পের সংকটে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি এবং ব্যাংক খাতের সংকটের পাশাপাশি, শ্রমিক অসন্তোষ ও অন্যান্য সমস্যার কারণে ইতোমধ্যে উৎপাদন প্রক্রিয়া এবং সরবরাহ ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
বর্তমানে, সরকারের গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটার ৭৫ টাকা করার পরিকল্পনা রয়েছে, যা শিল্পখাতে প্রায় ১৫০ শতাংশ বৃদ্ধি ঘটাবে। ব্যবসায়ীদের মতে, যদি এই দাম কার্যকর হয়, তবে বছরে প্রায় ১৭ হাজার ৯৭৫ কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ হবে, যা পোশাক রপ্তানি আয়ের প্রায় ১.৫ শতাংশ হবে।
এছাড়া, টেক্সটাইল শিল্পের ক্যাপটিভ পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো, যা দেশে মোট গ্যাস সরবরাহের প্রায় ১০ শতাংশ ব্যবহার করে, তাদের জন্যও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি ব্যাপকভাবে ক্ষতিকর হতে পারে। এর ফলে, পোশাক শিল্পের আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা সংকুচিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এর আগে, পোশাক শিল্পের মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি কমে গেছে, যা বিনিয়োগের স্থবিরতার চিত্র ফুটিয়ে তোলে। এই পরিস্থিতি শিল্পখাতে গভীর সংকট সৃষ্টি করছে এবং শিল্পের উৎপাদন খরচও ধারাবাহিকভাবে বেড়ে চলেছে।
এদিকে, ব্যবসায়ীরা গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির পরিকল্পনা স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছেন এবং অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি টেকসই, প্রতিযোগিতামূলক মূল্য নির্ধারণের নীতিমালা প্রণয়নের দাবি করেছেন। তারা আরো বলেছেন, যদি গ্যাস সরবরাহে সংকট থাকে, তবে সিএনজি স্টেশন থেকে সিলিন্ডারের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ করা এবং গ্যাস সরবরাহে অবিচ্ছিন্নতা নিশ্চিত করার জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা উচিত।