Home বাংলা নিউজ ঈদের ছুটি শেষে উৎপাদনে ফিরেছে ৪১.৪৯ শতাংশ পোশাক কারখানা

ঈদের ছুটি শেষে উৎপাদনে ফিরেছে ৪১.৪৯ শতাংশ পোশাক কারখানা

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে টানা ছুটির ফাঁদে পড়েছে দেশের বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে অবস্থিত পোশাক কারখানাগুলো।

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে টানা ছুটির ফাঁদে পড়েছে দেশের বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে অবস্থিত পোশাক কারখানাগুলো। ঈদের ছুটি শেষে কিছু কারখানা খুললেও অধিকাংশই বন্ধ রয়েছে। তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে ২ হাজার ১০৪টি সক্রিয় পোশাক কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে গতকাল পর্যন্ত উৎপাদনে ফিরেছে ৮৭৩টি, যা মোট কারখানার ৪১ দশমিক ৪৯ শতাংশ। বাকি ১ হাজার ২৩১টি অর্থাৎ ৫৮ দশমিক ৫১ শতাংশ পোশাক কারখানা বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।

বিজিএমইএর দেয়া অঞ্চলভিত্তিক খোলা-বন্ধের চিত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গাজীপুর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের ৮৫৪টি পোশাক কারখানার মধ্যে মাত্র ৩২৮টি খোলা হয়েছে, বন্ধ রয়েছে ৫২৬টি। অর্থাৎ মাত্র ৩৮ দশমিক ৪১ শতাংশ কারখানা উৎপাদনে ফিরেছে।

ঢাকার অদূরে অবস্থিত সাভার, আশুলিয়া ও জিরানী শিল্পাঞ্চলে মোট ৪০৩টি পোশাক কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে ২১৫টি উৎপাদনে ফিরেছে, যা মোট কারখানার ৫৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ। বাকি ১৮৮টি বন্ধ রয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ শিল্পাঞ্চলে মোট ১৮৮টি পোশাক কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে ৯৮টি চালু করা হয়েছে, যা মোট কারখানার ৫২ দশমিক ১৩ শতাংশ। বন্ধ রয়েছে ৯০টি পোশাক কারখানা।

ঢাকা মহানগরীতে অবস্থিত ৩২১টি পোশাক কারখানার মধ্যে ১০৭টি চালু করা হয়েছে, বাকিগুলো ছুটিতে রয়েছে। খোলা কারখানার হার ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

চট্টগ্রাম অঞ্চলে রয়েছে মোট ৩৩৮টি পোশাক কারখানা। এর মধ্যে ১২৫টি চালু হয়েছে, যা মোট কারখানার ৩৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ। বন্ধ রয়েছে ২১৩টি কারখানা।

অন্যদিকে শ্রমিকদের বেতন প্রদানের অগ্রগতি নিয়ে বিজিএমইএর দেয়া তথ্যে দেখা গেছে, ২ হাজার ৯৯টি পোশাক কারখানা ফেব্রুয়ারির পূর্ণ বেতন পরিশোধ করেছে, যা মোট কারখানার ৯৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ। বাকি পাঁচটি অর্থাৎ শূন্য দশমিক ২৪ শতাংশ কারখানা এখনো শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করেনি।

এছাড়া ২ হাজার ৭৬টি কারখানা মার্চ মাসের আংশিক বেতন (১৫ বা ৩০ দিন) পরিশোধ করেছে, যা মোট কারখানার ৯৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ। বাকি ২৮টি অর্থাৎ ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ কারখানা এখনো শ্রমিকদের বেতন দেয়নি। যেসব কারখানা এখনো ফেব্রুয়ারির বেতন দেয়নি, তাদের মধ্যে ঢাকায় রয়েছে আটটি ও চট্টগ্রামে পাঁচটি।

বিজিএমইএর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঈদের ছুটি শেষে ধাপে ধাপে সব পোশাক কারখানা খুলে দেয়া হবে।এজন্য সব কারখানাকে শতভাগ বেতন প্রদান নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here