তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ নির্বাচন আজ। ২০২৫-২৭ মেয়াদের নির্বাচনে ভোটযুদ্ধে লড়বেন ৭৬ জন প্রার্থী। নির্বাচনে এক হাজার ৮৬৪ জন গার্মেন্ট মালিক তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ঢাকা ও চট্টগ্রামের হোটেল রেডিসন ব্লু’তে ভোটগ্রহণ চলবে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। এবারের নির্বাচনে ফোরাম ও সম্মিলিত পরিষদ ৩৫টি পরিচালক পদের বিপরীতে প্রার্থী দিয়েছে। বাকি ছয়জন ঐক্য পরিষদের ব্যানারে স্বতন্ত্রভাবে ভোট করছেন।
এবারের নির্বাচনে প্যানেল লিডার হিসাবে ফোরাম জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন রাইজিং ফ্যাশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদ হাসান খান (বাবু)। আর সম্মিলিত পরিষদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন চৈতি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম।
গত ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিজিএমইএ’র সভাপতি আব্দুল মান্নান কচি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। অজ্ঞাত স্থান থেকে পদত্যাগপত্র পাঠান তিনি। এরপর বিজিএমইএ’র দায়িত্ব নেন ডিজাইনটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার রফিকুল ইসলাম। খন্দকার রফিকের নেত্বত্বে পুনর্গঠিত বোর্ড পোশাক খাতের অস্থিতিশীলতা সামাল দিতে না পারায় ২০ অক্টোবর রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনকে প্রশাসক নিয়োগ দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এবারের তালিকা থেকে অস্তিত্বহীন ৬৩২ ভোটার বাদ পড়েছে। নির্বাচন নিয়ন্ত্রণে অদৃশ্য শক্তির দৌড়ঝাঁপ নেই। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থী ও ভোটারদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। এ নির্বাচনকে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক, বাধাহীন ও গ্রহণযোগ্য করাকে সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জিং হিসাবে দেখছেন প্রার্থীরা। সাধারণ গার্মেন্ট মালিকরা আশা করছেন, এবার উৎসবমুখর পরিবেশে পছন্দমতো নিজেদের নেতৃত্ব বাছাই করে নিতে পারবেন তারা। পতিত স্বৈরাচারী সরকারের সময় নিয়ন্ত্রিত আর কারচুপির যে নির্বাচন হয়েছে, এবার তার ব্যতিক্রম হবে।
ফোরাম প্যানেল লিডার মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, বিজিএমইএকে কলুষমুক্ত করতে চাই। ফোরাম যতবার সংগঠনটির দায়িত্ব পেয়েছে ততবার সততা, সাহস আর জবাবদিহিতার মাধ্যমে তারা এই খাতের নেতৃত্ব দিয়েছে। বিগত দিনে সব উদ্যোক্তা যাতে ভোট দিতে পারেন, সেজন্য ফোরাম সংগ্রাম করেছে। যার কারণে এবার একটি উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ফোরাম নির্বাচনে জয়ী হয়ে বোর্ড গঠন করতে পারলে এই খাতের জন্য একটি মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করতে উদ্যোগ নেবে। আর বিজিএমইএতে এসএমই কারখানার জন্য থাকবে আলাদা সেল।