পোশাক শিল্পের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ’র সদস্যভুক্ত অ্যাকটিভ ২,০৯২টি কারখানার মধ্যে ৬১.০৯ শতাংশ কারখানা এখনও ঈদুল আজহার বোনাস দেয়নি। অর্থাৎ, ঈদের আগে এ পর্যন্তও ১,২৭৮টি কারখানার শ্রমিকরা বোনাস পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।
বিজিএমইএ’র হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, ২৬ মে পর্যন্ত মোট ৮১৪টি কারখানা ঈদ বোনাস পরিশোধ করেছে, যা মোট সক্রিয় কারখানার ৩৮.৯১ শতাংশ। ফলে, ঈদের প্রস্তুতির এ সময়ে অধিকাংশ শ্রমিকদের মধ্যে আর্থিক অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
বিজিএমইএ’র তথ্য অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ সারা দেশে বর্তমানে সক্রিয় কারখানার সংখ্যা ২,০৯২টি। এর মধ্যে গাজীপুর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে খোলা রয়েছে ৮৪৭টি কারখানা, সাভার-আশুলিয়া ও জিরানী এলাকায় খোলা ৩৯৫টি (১টি বন্ধ), নারায়ণগঞ্জে ২০৪টি (৮টি বন্ধ), ডিএমপি এলাকায় ৩০৪টি এবং চট্টগ্রামে ৩৪২টি কারখানা খোলা রয়েছে। বেশিরভাগ এলাকাতেই খোলার হার প্রায় ১০০ শতাংশ হলেও বন্ধের হার উল্লেখযোগ্য শুধু নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলে।
এপ্রিলের বেতন পরিশোধ করেছে ৯৮.৫৭ শতাংশ কারখানা
বিজিএমইএর তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল মাসের বেতন পরিশোধ করেছে ২,০৬২টি কারখানা, যা সক্রিয় কারখানার ৯৮.৫৭ শতাংশ। তবে ৩০টি কারখানা এখনও এপ্রিল মাসের বেতন দেয়নি। এছাড়া গাজীপুর এলাকার দুইটি কারখানা হংকং ফ্যাশন লিমিটেড, হাগ নিট ওয়ার লিমিটেড মার্চ মাসের বেতন এখনও পরিশোধ করেনি।
খোলা রয়েছে ২০৯০ কারখানা
সারা দেশে বিজিএমইএ’র সদস্যভুক্ত একটিভ ২,০৯২টি কারখানার মধ্যে আজকের (২৬ মে) হিসাবে খোলা রয়েছে ২,০৯০টি, যা মোটের ৯৯.৯০ শতাংশ। বন্ধ রয়েছে ২টি কারখানা, যার মধ্যে একটি ১৩/১ ধারায় এবং একটি স্ব-বেতনে ছুটি বা শ্রমিক চলে যাওয়ার কারণে বন্ধ রয়েছে।
বিজিএমইএর তথ্য অনুযায়ী, গাজীপুর ও ময়মনসিংহ কারখানা খোলা ৮৪৭টি, সাভার-আশুলিয়া ও জিরানী এলাকায় খোলা ৩৯৫টি, বন্ধ ১টি, নারায়ণগঞ্জে খোলা ২০৪টি, বন্ধ ৮টি, ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় খোলা ৩০৪টি এবং চট্টগ্রামে খোলা ৩৪২টি।
বিজিএমইএ’র সদস্যভুক্ত অ্যাকটিভ গার্মেন্টস কারখানার মধ্যে ২৬ মে পর্যন্ত ৯৯.৯০ শতাংশ অর্থাৎ ২০৯০টি কারখানা খোলা রয়েছে। এদিন শুধুমাত্র দুইটি কারখানা ১৩/১ ধারায় বন্ধ রয়েছে বা স্ব-বেতনে ছুটি দেওয়া হয়েছে, কিংবা শ্রমিকরা স্বেচ্ছায় কাজ বন্ধ রেখেছে। বিভিন্ন এলাকায় যেমন- আশুলিয়া, সাভার, কাশিমপুর, কোনাবাড়ী, টঙ্গী, শ্রীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও ডিএমপি এলাকায় কিছু কারখানা ১৩/১ ধারায় বন্ধ, স্ব-বেতনে ছুটি, অথবা শ্রমিক স্বেচ্ছায় অনুপস্থিত রয়েছে। বসুন্ধরা গার্মেন্টস লিমিটেড লে-অফ ঘোষণা করেছে এবং স্বাধীন গার্মেন্টস লিমিটেড ১৩/১ ধারায় বন্ধ রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদের মতো বড় উৎসব সামনে রেখে অধিকাংশ শ্রমিক এখনও বোনাস না পাওয়ায় চাপ এবং অসন্তোষের পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। শ্রমিকদের প্রত্যাশা, ঈদের আগেই সব কারখানা বোনাসসহ বকেয়া বেতন পরিশোধে কার্যকর উদ্যোগ নেবে মালিকপক্ষ।