ব্রেক্সিটের পক্ষে ব্রিটিশদের গণরায়ের পর বিশ্ব শেয়ার ও মুদ্রাবাজারে অস্থিরতা এখনও চলছে। মাঝে রোববার সাপ্তাহিক ছুটির পর গতকাল সোমবার ইউরোপসহ বেশির ভাগ বাজারে শেয়ারের দরপতন হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারেও দাম কমার মধ্য দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে। পাউন্ডের দর আরও এক দফা কমে ৩১ বছরের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে। ইইউ অঞ্চলে পালাবদলের সিদ্ধান্তের খবরে ইউরোর দামও কমছে।
ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে গণরায়ের পর বিশ্ব শেয়ারবাজার টালমাটাল হয়ে পড়ে। গতকাল ইউরোপিয়ান ব্যাংকগুলোর শেয়ারের দাম কমার মধ্য দিয়ে দরপতন আবার শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াল স্ট্রিটেও দিনের শুরুতে সূচক কমেছে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ। এদিকে, দ্রুত যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদের বিষয়ে আলোচনা শুরুর চেষ্টার মধ্যে ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী জর্জ ওসবর্নে তার দেশের অর্থনীতির অবস্থা ভালো রয়েছে বলে সবাইকে নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেন, বাজারের অস্থিরতায় তিনি বিস্মিত হয়েছেন। তবে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটি ব্রেক্সিট-পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় যথেষ্ট সক্ষম। এর পর আস্থা পাননি বিনিয়োগকারীরা। শুক্রবারের রেকর্ড লোকসানের পর ডলারের বিপরীতে পাউন্ডের আরও দরপতন হয়েছে। পাউন্ড বিক্রি হয় ১.৩৪৬ ডলারে। শুক্রবার যা ছিল ১.৩২২ ডলার। বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ মুদ্রা হিসেবে বিবেচিত ইয়েন ও সুইস ফ্রাঙ্কের দিকে ঝুঁকছেন। রয়টার্স।