ঢাকায় বিদেশী এক পোশাক ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের বৈঠক ছিল ঈদের পরবর্তী দিন শুক্রবার। ওই প্রতিষ্ঠান বৈঠকের স্থান বাতিল করে তা পার্শ্ববর্তী দেশের রাজধানী দিল্লিতে নিয়ে গেছে। প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কোনো ক্রেতা এ মুহূর্তে ঢাকায় আসবে না- তা বাংলাদেশী সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তাকে জানিয়ে দিয়েছে। কারণ ঢাকাকে নিরাপদ মনে করছেন না তারা। একই ভাবে পোশাক খাতের অধিকাংশ ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ঢাকায় অনুষ্ঠেয় নির্ধারিত বৈঠকগুলো নিয়ে যাচ্ছে হংকং, সিঙ্গাপুর ও ভারতে। পাশাপাশি জাপানের পোশাক খাতের ব্র্যান্ড ইউনিকলো বাংলাদেশে তাদের সফর স্থগিত করেছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত কোম্পানির চাকরিজীবীদের চলাফেরায় সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।
গুলশানে সন্ত্রাসী হামলার পর এই ধাক্কা শুরু হয়েছে রফতানি খাতে। বিশেষ করে হুমকির মধ্যে পড়ার আশংকা তৈরি হয়েছে পোশাক শিল্পে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ঈদের দিন শোলাকিয়ায় সন্ত্রাসী হামলা। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের (বিএবি) প্রেসিডেন্ট সালাম মুর্শেদী যুগান্তরকে বলেন, গুলশানে হামলার পর বিদেশী অনেক পোশাক ক্রেতা তাদের বৈঠকগুলো দেশের বাইরে করতে চাচ্ছে। বিশেষ করে ভারত, সিঙ্গাপুর, হংকংসহ অন্যান্য দেশে তাদের প্রয়োজনীয় বৈঠক করবে বলে জানিয়েছে। তিনি বলেন, দেশের বাইরে বৈঠকগুলোতে অংশ নিতে আমাদের ভিসার সমস্যা হবে। এতে হয়রানির পাশাপাশি ব্যয়ও বাড়বে।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম যুগান্তরকে বলেন, বিদেশী ক্রেতাদের সঙ্গে যেসব বৈঠক হওয়ার কথা, সেগুলো বাতিল করা হচ্ছে। তারা এখন দিল্লি ও হংকংসহ অন্যান্য দেশে বসে ঢাকার বৈঠকগুলো শেষ করতে চাচ্ছে।