বিশ্বে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ দ্বিতীয়। এ খাতে বাংলাদেশের সাফল্য থেকে অভিজ্ঞতা পেতে চায় কেনিয়া। রোববার ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) কার্যালয়ে ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতে কেনিয়ার সফররত সরকারি কর্মকর্তাদের একটি দলের প্রধান জুলিয়াস কুরির এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। কেনিয়ার শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি জুলিয়াস কুরির বলেন, বিশ্বের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এ খাতে বাংলাদেশের সাফল্য ব্যাপক প্রশংসার দাবি রাখে। আমরাও বস্ত্র খাতে উন্নতি করতে চাই। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশে কেনিয়া শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত সুবিধা পায়। বাংলাদেশ চাইলে কেনিয়াতে বিনিয়োগ করে সে সুযোগ নিতে পারে। এতে কেনিয়া উপকৃত হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ধীরে ধীরে উন্নত দেশের দিকে যাচ্ছে। এ অবস্থায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর উন্নতিতে বাংলাদেশকে অবদান রাখতে হবে। বস্ত্র খাতে অভিজ্ঞতা বিনিময় করলে কেনিয়া উপকৃত হবে। সভায় উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের প্রথম সহ-সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, কেনিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেদিকে খুব বেশি নজর দেয়া হয়নি। তিনি বলেন, প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশকে প্রায় ৯০ কোটি ডলার শুল্ক বাবদ দিতে হয়। কেনিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে বিনিয়োগ করলে এ দিক থেকে কিছুটা সুবিধা হতে পারে। তাছাড়া কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প খাতে বাংলাদেশ ও কেনিয়া যৌথভাবে কাজ করতে পারে। এফবিসিসিআইয়ের প্রথম সহ-সভাপতি আরও বলেন, বাংলাদেশ এখন প্রচুর বিদেশি বিনিয়োগ আনতে আগ্রহী। এজন্য সরকার ১০০ ইকোনমিক জোন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। কেনিয়ার উদ্যোক্তারাও সেখানে বিনিয়োগ করতে পারেন।