রাজধানীর উত্তরায় তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র নতুন ভবন নির্মাণ কাজ শেষ হতে আরো প্রায় দুই বছর সময় লাগতে পারে। গত রবিবার সংগঠনটির বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এমন আলোচনা এসেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। যদিও সম্প্রতি সংগঠনটির রিভিউ আবেদনে আপিল বিভাগ অবৈধ ভবন সরাতে সাত মাস সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বলেছেন, এরপর আর কোন সময় দেওয়া হবে না।
নতুন ভবন তৈরি করার জন্য রাজধানীর উত্তরা তৃতীয় প্রকল্পে ১৭ নম্বর সেক্টরে সাড়ে পাঁচ বিঘা জমি বাজারমূল্যের চাইতে অর্ধেক দামে বরাদ্দ পেয়েছে বিজিএমইএ। দীর্ঘদিন থেকেই ওই জমিতে ভবন তৈরির কথা বলে আসলেও সেখানে এখনো পুরোদমে কাজ শুরু হয়নি বলে জানা গেছে। এজিএমে উপস্থিত বিজিএমইএ’র একাধিক সদস্য সংগঠনের সভাপতিকে উদ্ধৃত করে ইত্তেফাককে বলেন, ভবন সরানোর প্রসঙ্গে সংগঠনের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, উত্তরায় ২২ কোটি টাকা দামের জমি আমরা ১১ কোটি টাকায় কিনেছি। ভবনের কাজ শুরু হলে দুই বছরের মধ্যে নতুন ভবনে চলে যেতে পারব। এ জন্য তিনি সংগঠনের সদস্যদের সহযোগিতাও চান।
জমির স্বত্ব না থাকা ও জলাধার আইন লঙ্ঘন করে বিধিবহির্ভূতভাবে নির্মাণ করায় ২০১১ সালে বিজিএমইএ ভবন ভাঙ্গার রায় দেন হাইকোর্ট। এই রায়ের বিরুদ্ধে বিজিএমইএ আপিল করলে গত বছরের জুনে খারিজ হয়ে যায়। এর রিভিউ আবেদনও খারিজ হয়। এর পর এক বছর সময় চেয়ে আবেদন করলে গত ৮ অক্টোবর সাত মাস সময় দেন আদালত। এর পর আর সময় বাড়ানো হবেনা বলেও আদালত বিজিএমইএকে জানিয়ে দেন।
এছাড়া এজিএমে শ্রম মন্ত্রণালয়কে গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য নতুন মজুরি বোর্ড গঠনের বিষয়ে অনুরোধ করে বিজিএমইএ’র পাঠানো চিঠির ব্যাখ্যাও দেন সিদ্দিকুর রহমান। তবে তিনি বলেন, মজুরি বোর্ড গঠনের পর আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণা হওয়ার পর বাস্তবায়ন পর্যায়ে চার মাস সময় দিতে হবে। এই সময়ের মধ্যে নতুন উত্পাদন খরচ হিসেব করে ক্রেতার সঙ্গে দরাদরিতে প্রাপ্ত দরে টিকে থাকা সম্ভব হলে ব্যবসা চালু রাখা হবে। যারা বাড়তি দর না পেয়ে টিকতে পারবেন না, তারা ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার সময় পাবেন।
যোগাযোগ করা হলে বিজিএমইএ সভাপতি এমন আলোচনার কথা স্বীকার করেন নি। তবে তিনি বলেন, এর আগেও মজুরি ঘোষণার পর বাস্তবায়নে চার মাস সময় দেওয়া হয়েছিল।
এছাড়া আগামী বছর অ্যাকর্ডের কার্যক্রমের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সর্বোচ্চ ছয় মাস সময় পাবে বলেও স্মরণ করিয়ে দেয় বিজিএমইএ।