পোশাক খাতে রাশিয়ায় ৫২ বিলিয়ন (৫ হাজার ২০০ কোটি ডলার) ডলারের বাজার রয়েছে। সেই বাজারে জায়গা করে নিতে জোর তৎপরতা শুরু করেছে বাংলাদেশ। এর অংশ হিসেবে ২১ থেকে ২৩ মে পর্যন্ত মস্কোতে বাংলাদেশের বস্ত্র ও পাটপণ্যের মেলা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের পোশাক ও পাটশিল্প খাতের উদ্যোক্তারা এই মেলায় অংশ নিচ্ছে।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, মেলা অনুষ্ঠিত হবে মস্কোর রেডিসন স্লাভিয়ানস্কায়া হোটেল অ্যান্ড বিজনেস সেন্টারে। বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ও মস্কোর বাংলাদেশ দূতাবাস এই মেলার আয়োজন করেছে। মেলা আয়োজনে ব্যয় হবে এক কোটি টাকার মতো। এর পুরোটাই বহন করছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো।
তৈরি পোশাক খাতের মালিক-উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএ, পাট খাতের উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান, বিজেএমসি ও জুট ডাইভারসিফেকশন প্রমোশন সেন্টার (জেপিডিসি) এই মেলায় অংশ নেবে। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সাবের হোসেন চৌধুরী, কমিটির সদস্য মন্নুজান সুফিয়ান ও মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী মেলা উপলক্ষে ১৯ মে রাশিয়া যাচ্ছেন। এ ছাড়া বিজিএমইএ, বিজেএমসি ও জেপিডিসির কর্মকর্তার মেলায় অংশ নিচ্ছেন।
জানতে চাইলে বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম প্রথম আলোকে বলেন, ‘বর্তমানে রাশিয়া পোশাক ও পাটপণ্যের বড় একটি বাজার। এই বাজারে জায়গা করে নেওয়ার জন্য অতীতে বাংলাদেশ থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। আমরা আশা করছি, এই মেলার মাধ্যমে রাশিয়ার মানুষ বাংলাদেশ পোশাক ও পাটপণ্য সম্পর্কে জানতে পারবে। আর রাশিয়ার বাজার ধরতে পারলে বাংলাদেশের জন্য সিআইএসভুক্ত (কমনওয়েলথ অব ইন্ডিপেনডেন্ট স্টেট) অন্য দেশগুলোর বাজারে প্রবেশ করা সহজ হবে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রাশিয়ার বাজারে ৩৭৯ মিলিয়ন ডলারের পোশাক পণ্য রপ্তানি করেছে। যে কারণে বাংলাদেশ এই বাজারে বড় ধরনের সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মনে করেন, রাশিয়ার সঙ্গে তাদের জোটভুক্ত দেশ উজবেকিস্তান, বেলারুশ, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, মলদোভা, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান ও তাজিকিস্তানের ভালো বাণিজ্যিক যোগাযোগ রয়েছে। এসব দেশের মানুষ অবাধে রাশিয়ায় যাতায়াত করে। সুতরাং রাশিয়ায় মেলা হলে সিআইএস জোটভুক্ত দেশগুলোও বাংলাদেশের পণ্য সম্পর্কে জানতে পারবে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, রাশিয়ার পরপরই জাপানের টোকিওতে বাংলাদেশের বস্ত্র, পাট ও চামড়াজাত পণ্যের মেলা অনুষ্ঠিত হবে।