বাংলাদেশের পোশাক রফতানির শীর্ষ গন্তব্য এখন জার্মানি। গেল অর্থবছরে দেশটিতে রফতানি হয়েছে ৫৫৭ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পোশাক ছাড়াও বাংলাদেশী অপ্রচলিত পণ্যের সম্ভাবনার বাজারও এখন জার্মানি। সুযোগ আছে বাংলাদেশে জার্মানির বিনিয়োগ বাড়ানোরও। এ জন্য দরকার বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি।
জার্মানি, উত্তর ও বাল্টিক সাগরের উপকূলীয় নিম্নভূমি থেকে মধ্যভাগের ঢেউ খেলানো পাহাড় ও নদী বেষ্টিত দেশ। দক্ষিণে ঘন গাছগাছালির পর্বত আর বরফে ঢাকা আল্পস পর্বতমালা দেশটির বৈচিত্র্যময় সৌন্দর্যে যোগ করেছে ভিন্নমাত্রা। ১৬টি রাজ্যের বুক চিরে প্রবাহিত ইউরোপের রাইন, দানিউব কিংবা, এলবে জার্মানিকে এনে দিয়েছে অন্যতম বাণিজ্য নগরীর পরিচিতি।
স্বাধীনতার পর থেকেই দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের শুরু। সময়ের সঙ্গে যা বেড়েছে বহুগুণ। গেল অর্থবছরেও জার্মানিতে রফতানি হয়েছে ৫৫৭ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক। যার ফলে শীর্ষস্থানটি পাল্টে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের বদলে জার্মানিতেই। পরিসংখ্যান বলছে, তৈরি পোশাকে জার্মানির মোট চাহিদার বড় অংশের যোগান দেয় বাংলাদেশ। দেশটিতে যায় টেক্সটাইল পণ্য, মাছ, হিমায়িত খাদ্য, চামড়া আর চামড়া জাতীয় পণ্য। আবার, নিত্যপণ্যের ১৪ ভাগ আসছে জার্মানি থেকে। যে তালিকায় রয়েছে সাবান, অর্গানিক পণ্য, মেশিনারিজ আর ফটোগ্রাফিক যন্ত্রাংশ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশের পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে মনোযোগ দিতে হবে নতুন বাজারে। বাড়াতে হবে সম্ভাবনাময় অপ্রচলিত পণ্যের সংখ্যাও। আর জার্মানি বিনিয়োগ টানতে নিশ্চিত করতে হবে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ। গেল অর্থবছরে জার্মানিতে রফতানি হয়েছে ৫৮৯ কোটি ডলারের পণ্য। যা বাংলাদেশের রফতানি বাজারের তালিকায় দ্বিতীয়।