পোশাক খাতের সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে সরকার গঠিত বিকল্প প্ল্যাটফর্ম রেমিডিয়েশন কোঅর্ডিনেশন সেলের (আরসিসি) কাছে শিগগির ২৪০ কারখানা হস্তান্তর করবে ইউরোপের ক্রেতা জোট অ্যাকর্ড অন ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশ (অ্যাকর্ড)। মূলত এসব কারখানা থেকে অ্যাকর্ডের ক্রেতারা এখন আর পোশাক নেয় না।
অ্যাকর্ড প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিজিএমইএ নেতাদের বৈঠকে গতকাল এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। তবে কবে নাগাদ কারখানা হস্তান্তর হবে কিংবা হস্তান্তর প্রক্রিয়া কীভাবে হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়নি। আরসিসির সক্ষমতা যাচাইয়ে সরকার গঠিত ট্রানজিশন মনিটরিং কমিটির (টিএমসি) বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। আগামী মাসের প্রথম দিকে এ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিজিএমইএ কার্যালয়ে সংগঠনের সহসভাপতি মোহাম্মদ নাছির, পরিচালক আ ন ম সাইফুদ্দিন, মুনির হোসেন, আশিকুর রহমান তুহিন ও মিরান আলী, অ্যাকর্ডের নির্বাহী পরিচালক রব অয়েজসহ অন্তত ২০ প্রতিনিধি বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, মেয়াদ শেষে বাড়তি সময় বাংলাদেশে থেকে যাওয়ার বিষয়ে আবারও আগ্রহ দেখিয়েছেন অ্যাকর্ডের প্রতিনিধিরা। তাদের যুক্তি, এ জোট যথাযথ সংস্কারকাজ শেষে বাংলাদেশ থেকে চলে যাবে। তবে এ কার্যক্রমের তদারকিতে সক্ষম আরসিসির কাছেই দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে চায় তারা। তাদের বিবেচনায় আরসিসি এখনও এ জন্য প্রস্তুত নয়। জোট নেতাদের দাবি, এ দেশের পোশাক খাতের উন্নয়নে জোটের পক্ষ থেকে কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে। এখন মাঝপথে সংস্কার শেষ না করে চলে গেলে তারা বাণিজ্যিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আন্তর্জাতিক মহলেও বাংলাদেশ সমালোচিত হবে। অ্যাকর্ড প্রতিনিধিরা বলেন, অ্যাকর্ডভুক্ত কারখানার মাত্র ৭৮ শতাংশ সংস্কারকাজ শেষ হয়েছে।