ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ১১-১৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় পোশাক, ফ্যাব্রিক ও ফ্যাশন অনুষঙ্গ এবং চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের তিন প্রদর্শনী টেক্সওয়ার্ল্ড প্যারিস, অ্যাপারেল সোর্সিং প্যারিস ও লেদারওয়ার্ল্ড প্যারিস। প্যারিসের লো বুগেত এক্সিবিশন সেন্টারে একই সঙ্গে প্রদর্শনী তিনটির আয়োজন করে মেসে ফ্রাংকফুর্ট। বাংলাদেশের ২৯টি প্রতিষ্ঠান এবারের প্রদর্শনীতে অংশ নেয়।
প্রদর্শনীতে ফ্যাব্রিক ক্যাটাগরিতে অংশ নিতে যাওয়া বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে— আকিজ টেক্সটাইল, এক্সপেরিয়েন্স টেক্সটাইল, মমটেক্স এক্সপো, সিলভার কম্পোজিট ও যাবের অ্যান্ড যুবায়ের ফ্যাব্রিকস। ডেনিম ক্যাটাগরিতে অংশ নেবে অ্যারন ডেনিম, আর্গন ডেনিম, চিটাগং ডেনিম মিলস, এভিন্স টেক্সটাইল, এনজে টেক্সটাইল ও নাইস ডেনিম। অ্যাপারেল ক্যাটাগরিতে অংশ নিতে যাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে— অ্যাডাম অ্যাপারেলস, আমা সিনটেক্স, বঙ্গ গার্মেন্টস, ব্লু প্ল্যানেট নিটওয়ার, ডেলফিটেক্স ইন্ডাস্ট্রি/রেদওয়ান টেক্স অ্যান্ড অ্যাপারেলস, ইউরো নিটওয়ার, ফ্যাব্রিকা নিট কম্পোজিট, গ্রিন স্মার্ট শার্ট, হেলেনিক সোর্সিং হংকং/ হেলেনিক গ্রুপ, মার্স স্টাইল অ্যান্ড ফ্যাশন, মনিরা নিট অ্যাপারেলস, প্যাসিফিক এক্সপোর্ট, প্রুডেন্ট ইন্টারন্যাশনাল, সিমুরা নন ওভেন/ সিমুরা গ্রুপ, সিলভার কম্পোজিট টেক্সটাইল মিলস, টিম সোর্সিং, টেক্সপিওন ও টোডস প্রিন্টিং।
১৩ ফেব্রুয়ারি প্রদর্শনীর তৃতীয় দিনে বাংলাদেশী প্রদর্শকদের অংশগ্রহণে দুটি ফ্যাশন শো অনুষ্ঠিত হয়। এর প্রথমটিতে জাবের অ্যান্ড জুবায়ের এককভাবে অংশগ্রহণ করে। দ্বিতীয়টিতে বাংলাদেশের বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো অংশ নেয়।
এনজে ফ্যাব্রিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. এহসানুল হক বলেন, এবারের প্রদর্শনীটি আমাদের জন্য খুবই ভালো হয়েছে। এতে প্রদর্শিত আমাদের নতুন পণ্যগুলো নিয়ে ক্রেতাদের প্রতিক্রিয়া খুব আশাব্যঞ্জক ছিল। এখানে আমরা আমাদের পুরনো ক্রেতাদের সঙ্গে দেখা করতে পেরেছি। পাশাপাশি নতুন ক্রেতাদের সঙ্গেও পরিচিত হয়েছি।
আকিজ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক (বিক্রয় ও বিপণন) মো. আরিফুর রহমান বলেন, আমরা নিয়মিত টেক্সওয়ার্ল্ডে অংশগ্রহণ করি। নতুন ও পুরনো ক্রেতাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য এটি খুব ভালো একটি প্লাটফর্ম।
জাবের অ্যান্ড জুবায়ের ফ্যাব্রিকের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক (ব্র্যান্ড কাস্টমার কেয়ার) অনল রায়হান বলেন, বিগত পাঁচ বছর আমরা টেক্সওয়ার্ল্ডে অংশ নিচ্ছি। এতে অংশ নিতে পেরে আমরা সন্তুষ্ট। প্রদর্শনীতে দর্শক ও সম্ভাব্য ক্রেতাদের সঙ্গে আমাদের ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।
এবারের প্রদর্শনীতে মোট ১ হাজার ১৮২ প্রদর্শক অংশ নিয়েছে। দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় ১৩ হাজার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কান্তি ঘোষ প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশী স্ট্যান্ডগুলোয় প্রদর্শিত পণ্যগুলো দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এছাড়া ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের কমার্শিয়াল কাউন্সেলরও প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন।