Home বাংলা নিউজ অ্যাকর্ডের মতো নতুন উদ্যোগ নেওয়ার দাবি

অ্যাকর্ডের মতো নতুন উদ্যোগ নেওয়ার দাবি

দেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলোতে কর্মপরিবেশ ও শ্রমিক নিরাপত্তা আবারও দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে উদ্বেগ জানিয়েছে বৈশ্বিক শ্রমিক সংগঠনগুলো। এই পরিস্থিতিতে তারা মনে করছে কারখানার পরিবেশ রানা প্লাজা দুর্ঘটনার আগের পরিবেশে ফিরে যাচ্ছে। তাই কারখানায় শ্রমিকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকিতে অ্যাকর্ডের মতো আন্তর্জাতিক অঙ্গনের তদারকি চায়। গতকাল বৃহস্পতিবার এ খাতের অন্যতম আন্তর্জাতিক প্রেশার গ্রুপ ক্লিন ক্লথস ক্যাম্পেইন (সিসিসি) রানা প্লাজা ধসের আট বছর উপলক্ষে এক বিবৃতিতে এমন দাবি জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, রানা প্লাজা ধসের পর ২০১৩ সালেই ২ শতাধিক ব্র্যান্ডের সমন্বয়ে গঠিত হয় অ্যাকর্ড অন ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশ। এসব ব্র্যান্ডের বেশির ভাগই ইউরোপভিত্তিক। এর মাধ্যমে ওই ব্র্যান্ডগুলোকে পোশাক সরবরাহ করে এমন প্রায় এক হাজার ৬০০ কারখানা ভবনের কাঠামো, অগ্নি ও বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরীক্ষা করে পরবর্তী প্রায় ছয় বছর ধরে ত্রুটি সংস্কারকাজ তদারক করে। পরে বেশ কিছু বিতর্কিত কার্যক্রম নেওয়ায় সরকার ও কারখানা মালিকপক্ষের চাপে অ্যাকর্ডকে চলে যেতে হয়। এর বদলে বর্তমানে পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর উদ্যোগে আরএমজি সাসটেইনেবল কাউন্সিল (আরএসসি) কাজ করছে। এতে অ্যাকর্ডেরও অংশীদারি রয়েছে। তবে সিসিসি মনে করছে, দিনে দিনে কারখানাগুলোর আলোচ্য নিরাপত্তা দুর্বল হয়ে আসছে এবং তা ২০১৩ সালের আগের অবস্থানে ফিরে যাচ্ছে। উদাহরণ দিয়ে বলা হয়, অ্যাকর্ডের কার্যক্রম চলাকালীন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছিল। কিন্তু তারা তাদের কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারেনি। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, অ্যাকর্ডভুক্ত ব্র্যান্ডগুলোকে পোশাক রপ্তানিকারক প্রায় এক হাজার ২০০ কারখানার ফায়ার অ্যালার্ম স্থাপন করেনি। ৯ শতাধিক কারখানা গ্যারান্টেড এক্সিট ডোর স্থাপন করেনি। এসব কারণে অ্যাকর্ডের মতো তদারক সংস্থা প্রয়োজন। শ্রমিক নেত্রী কল্পনা আক্তারের বরাত দিয়ে বলা হয়, রানা প্লাজার মতো আরেকটি বড় দুর্ঘটনা এড়াতে হলে অ্যাকর্ডের মতো নতুন চুক্তি প্রয়োজন, যাতে বাংলাদেশ থেকে পোশাক ক্রয় করা সব ব্র্যান্ডের অংশীদারি থাকবে। সিসিসির ইনেক জেলডেনরাস্ট বলেন, ‘রানা প্লাজার পর শ্রমিকদের জীবনমানের খুব কমই পরিবর্তন হয়েছে। তারা এখনো খুব কম আয় করে, ট্রেড ইউনিয়ন করার স্বাধীনতা এখনো চাপে রয়েছে এবং কর্মক্ষেত্রে আহত শ্রমিকদের বীমার ব্যবস্থাও নেই।’ প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারে রানা প্লাজা ধসে এক হাজার ১৩৮ জন শ্রমিক মারা যান। আহত হন আরো এক হাজারের বেশি শ্রমিক।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here